পরকলা প্রভাকরের অন্য পরিচয়, তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের স্বামী। দেশের অর্থনৈতিক হাল নিয়ে আগেও তিনি সরকারি নীতির সমালোচনা করেছেন। তাঁর স্ত্রী নির্মলা এবার ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না। রাজ্যসভার এই সদস্যকে তাঁর দল এবার তামিলনাড়ু থেকে লোকসভায় লড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। নির্মলা জানিয়েছেন, দলকে বলে দিয়েছেন, ভোটে দাঁড়ানোর মতো অর্থবল তাঁর নেই।
ভোটের মুখে নাগেশ্বরণ ও প্রভাকরের জোড়া ধাক্কা বিজেপিকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে।
নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর ১০ বছরের শাসনকালে বারবার সমালোচিত হয়েছে কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব নিয়ে। বারবার তিনি তাঁর মতো করে এর মোকাবিলা করে এসেছেন। এই দুই বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইএইচডি) তৈরি করেছে ‘ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪’।
রাজধানী দিল্লিতে গত মঙ্গলবার যে অনুষ্ঠানে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন নাগেশ্বরণ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের মোট বেকার জনসংখ্যার মধ্যে শিক্ষিতদের হার ২০০০ সালে ছিল ৩৫ দশমিক ২০ শতাংশ, ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ৬৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। এঁদের ৮৩ শতাংশই শিক্ষিত তরুণ–তরুণী।
রিপোর্টটি প্রকাশ করে নাগেশ্বরণ মন্তব্য করেন, সরকারই সব আর্থিক ও সামাজিক সমস্যার সুরাহা করবে এটা ভাবা উচিত নয়। সর্বত্র সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে মনে করার কারণ নেই। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রকে উদ্যোগী হতে হবে।