‘জানে তু ইয়া জানে না’ সিনেমা যখন মুক্তি পায়, তখন ইমরান খানকে নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে যায়। একেতো দেখতে সুপুরুষ, অভিনয়েও চৌকস, তার ওপর আমির খানের ভাগ্নে, সব মিলিয়ে সিনেমাপ্রমীরা মনে করেছিলেন, বলি ইন্ডাস্ট্রি পেতে যাচ্ছে আরেকজন দক্ষ অভিনেতা। এমনকি কেউ কেউ তখন আমিরের সঙ্গেও তুলনা করেন ইমরানকে।

তবে হঠাৎ করেই যেন সিনেমার জগৎ থেকে উধাও হয়ে যান ইমরান। যার মামা আমির খান, তার কেন বলিউডে টিকে থাকতে ঝক্কি পোহাতে হবে, তা নিয়েও চলেছে বিস্তর আলোচনা। এবার আমির নিজেই জানিয়েছেন, ভাগ্নের বলিউড বিদায়ের কারণ।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির ব্যাখ্যা করেছেন, কেন ইমরান বলিউড নায়কের চরিত্রে মানানসই নন।







আমির বলেন, “বলিউডের তথাকথিত ‘হিরোগিরি’ দেখানো চরিত্রে অভিনয় করতে স্বস্তি পায় না ইমরান। অভিনয়ের যথেষ্ট উপাদান আছে যেসব চরিত্রে, তেমন চরিত্রে কাজ করতে চায় ও (ইমরান)। আসলে ইমরান মূলধারার সিনেমার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনা।”  

আমির নিজের মতামত দেন এভাবে যে, ‘জানে তু ইয়া জানে না’ এবং ‘দিল্লি বেলি’র মতো সিনেমার শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করার পর ইমরান আর প্রচলিত হিন্দি সিনেমায় কাজ করতে আগ্রহ পাননি।







আমির এটাও জানান, ইমরান একজন অভিনেতা হতে চান। তিনি বলেন, ‘ইমরানের একটা নির্দিষ্ট সৃজনশীল দিক রয়েছে। বলিউডের মূলধারার সিনেমার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া তার জন্য কঠিন। এটা তার জন্য স্বাভাবিক জায়গা নয়। যে কারণে সে ‘জানে তু ইয়া জানে না’ এবং ‘দিল্লি বেলি’র মতো ছবিতে ভালো করেছে। কারণ, এই সিনেমাগুলোতে সে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অভিনয় করতে পেরেছে। কিন্তু  যখনই তাকে একটি মূলধারার হিন্দি ছবিতে আনা হবে, তখন সে ফিট হবে না। সে হিরোগিরিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। সে একজন প্রকৃত ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করতে চায়। সবাই তাকে মূলধারার ছবি অফার করছিল কারণ সে দেখতে সুন্দর। কিন্তু সে একজন অভিনেতা হতে চায়, তারকা নয়।”

বলা প্রয়োজন, মনসুর খানের রোমান্টিক হিট ছবি ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ এবং ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’-এর মতো আইকনিক ছবিতে আমির খানের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে অভিষিক্ত হন ইমরান খান।







উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে জেনেলিয়া ডি'সুজার বিপরীতে ‘জানে তু ইয়া জানে না’-এর মাধ্যমে তিনি প্রধান অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন ‘কিডন্যাপ’, ‘লাক’, ‘আই হেট লাভ স্টোরিজ’, ‘ব্রেক কে বাদ’, ‘দিল্লি বেলি’, ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহান’, ‘এক ম্যায় অর এক তু’, ‘মাতরু কি বিজলি কা মান্ডোলা’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই দোবারা’ এবং ‘গোরি তেরে পেয়ার মে’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমায়।

ইমরানের শেষ ছবি ছিল ২০১৫ সালে কঙ্গনা রানৌতের সাথে ‘কাট্টি বাট্টি’। তারপর থেকে তিনি অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছেন। তবে তিনি ভালো স্ক্রিপ্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। পছন্দের স্ক্রিপ্ট পেলেই ফিরবেন অভিনয়ে।

সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা