ফরীদি ভাই ঢাকা থিয়েটারে নাটকের মহড়াতে যান। টিভি নাটক করেন। মাঝখানে শর্টফিল্মে অভিনয়। এক-দুই দিন শুটিং হয়, এরপর বন্ধ হয়ে যায়। হতাশাজনক অবস্থা।
কাকরাইলে ফরিদপুর ম্যানশনের পুরোটাতেই তখন সিনেমা অফিস। সেখানে ফরীদি ভাইয়ের বন্ধু আহসান ভাইয়ের অফিস। দুপুরবেলাটা এখানে বসেন। সিনেমার দু-একজন পরিচালক কথা বলেন, কথাবার্তা বেশি দূর যায় না। তাঁদের কথা, নাটকের লোক দিয়ে সিনেমা চলে না। কোনো কোনো দিন সেখান থেকে টিভি নাটকের রেকর্ডিংয়ে বিটিভিতে যেতেন। তখন হয়তো আমাকে বলতেন, ‘তুই বিটিভিতে চলে আসিস।’
আমি কাজ শেষ করে রাতে বিটিভিতে চলে যেতাম। রেকর্ডিং শেষে সেখান থেকে ফরীদি ভাইয়ের সঙ্গে বাসায় চলে আসতাম। তেমনি এক নাটকের রেকর্ডিং শেষে রাত ১২টার দিকে বিটিভির গাড়িতে আমি, ফরীদি ভাই, সুবর্ণাসহ অনেকের সঙ্গে বসে আছি। নাট্যকার আবদুল্লাহ আল-মামুন তাঁর গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। ফরীদি ভাই ও সুবর্ণাকে দেখে বললেন, ‘তোমরা আমার গাড়িতে চলে এসো, আমি তোমাদের বাসায় নামিয়ে দেব, কথা আছে।’
আমরা মামুন ভাইয়ের গাড়িতে উঠি। আমি সামনের সিটে, মামুন ভাই, সুবর্ণা, ফরীদি ভাই পেছনের সিটে। গাড়ি চলছে শান্তিনগরের দিকে। মামুন ভাই থাকেন বেইলি রোডে। ‘শোনো ফরীদি, আমি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস প্রাগৈতিহাসিক নিয়ে সিনেমা করব। ভিখু চরিত্রটা আমিই করব। আর তুমি করবে অমুক চরিত্রটা।’