আমেরিকার স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউটের (এনআইএইচ) প্রধান হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জয় ভট্টাচার্যকে মনোনীত করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ২৬ নভেম্বর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এ ঘোষণা দেন তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৬ বছর বয়সী জয় যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক। চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি, তিনি অর্থনীতিবিদও।
ট্রাম্প তাঁর নাম ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় জয় লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে পরবর্তী এনআইএইচের ডিরেক্টর হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। আমেরিকার বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করব আমরা, যাতে আবারও সেগুলো মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে ওঠে। আমেরিকাকে আবারও সুস্থ করে তুলতে বিজ্ঞানের সুফলকে কাজে লাগাব আমরা।’
করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে প্রথম খবরে উঠে আসেন জয়। সেই সময় আমেরিকা সরকারের টিকা-নীতির বিরোধী ছিলেন তিনি। লকডাউন এবং মাস্ক পরা বিরোধিতা করেন। আমেরিকা সরকারকে লেখা একটি খোলা চিঠিতে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তোলার পক্ষে মত দেন তিনি। অর্থাৎ সংক্রমণ ছড়ালে, সংক্রমিত হলে তবেই তা প্রতিহত করার শক্তি গড়ে উঠবে বলে মত ছিল তাঁর। টিকা বাধ্যতামূলক করাতেও আপত্তি ছিল জয়ের। এর ফলে অনেকেই জয়ের সমালোচনা করেছিলেন সেই সময়। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাঁর সমালোচনা করেন।
কিন্তু ট্রাম্পের তদানীন্তন সরকারের কেউ কেউ তাঁর মতামতকে সমর্থন জানান। ২০২১ সালে জো বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার পর করোনা মহামারির সংক্রমণ ঠেকাতে মার্কিন প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের তুমুল সমালোচনা করেন জয় ভট্টাচার্য।
এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়েন জয়। ভুয়া খবর রুখতে গিয়ে আমেরিকার সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্ষণশীল ভাবনাকে দমন করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই মামলা আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছায়। যদিও শেষ পর্যন্ত জো বাইডেন সরকারের পক্ষেই রায় দেয় আদালত। ২০২২ সালে ইলন মাস্ক এক্স কিনে নেওয়ার পর জয়কে সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/আশিক