গৌতম গম্ভীরের কথা বলার ধরনে খুশি নন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তার মতে, অনেক ভুল করেও বেঁচে যাচ্ছেন গম্ভীর। ফলে সাংবাদিক সম্মেলনে তার বড় বড় কথা বলা উচিত নয়।
ম্যানচেস্টার টেস্টে গৌতম গম্ভীরের দল নির্বাচন ও পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার বেশ কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা হয়েছে। এই টেস্টেই সিরিজ হেরে যেতে পারত ভারত। কিন্তু ১৪৩ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ বাঁচিয়েছেন শুভমান গিল, লোকেশ রাহুল, ওয়াশিংটন সুন্দর ও রবিন্দ্র জাদেজা।
তারপরে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন গম্ভীর। তার কথা বলার ধরনে খুশি নন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তার মতে, অনেক ভুল করেও বেঁচে যাচ্ছেন গম্ভীর।
মঞ্জরেকর বলেছেন, ‘স্বাভাবিক ভাবেই অনেক প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে শুভমানের অধিনায়কত্ব নিয়ে। সত্যি বলতে, এই প্রশ্ন ওঠাই উচিত। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা প্রশ্ন তুলেছেন, ওকে অধিনায়ক করার এটাই কি সঠিক সময় ছিল? গম্ভীরকে সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তা না করে ও বড় বড় কথা বলছে। ওর বড় বড় কথা বলা উচিতই নয়।’
ম্যানচেস্টার টেস্ট শেষে অধিনায়ক শুভমানের প্রশংসা করে গম্ভীর বলেছেন, ‘শুভমানের প্রতিভা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। যাঁদের সন্দেহ আছে তারা ক্রিকেটের কিছু বোঝে না। ওর উপর অধিনায়কত্বের কোনও বোঝা নেই।’
মঞ্জরেকর বলেন, ‘আমি কী ভাবছি বা তোমরা কী ভাবছ, বিষয়টা তা নয়। গম্ভীরকে বুঝতে হবে যে আমরা সকলেই একই দেশের। আমরা সকলেই ভারতীয় ক্রিকেটের ভালো চাই। ওকে বলব, মেজাজ একটু শান্ত করো। কঠিন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করো। কিন্তু ও সেটা করবে কি না, তা জানি না।’
ভারতের দল নির্বচন নিয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘আমরা কাউকে বাদ দেইনি। শুধু সেরা একাদশটা বেছেছি। আমাদের মনে হয়েছে ইংল্যান্ডের এই বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে এক জন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দরকার। কম্বোজকে আমরা নিয়েছিলাম, কারণ আমাদের মনে হয়েছিল ইংল্যান্ডের মেঘলা আবহাওয়ায় ও ভালো বল করবে।’
গম্ভীরের এই যুক্তি মানতে পারছেন না মঞ্জরেকর। তার মতে, ‘ওর পরিকল্পনায় অনেক গলদ রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে চুনকাম, তারপর অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এই দলটা লড়াই করছে। তাই এত ভুল করেও গম্ভীর বেঁচে যাচ্ছে। ও বলছে করুণকে বাদ দেওয়া হয়নি। সকলে দেখতে পাচ্ছে ও বাদ পড়েছে। এসব কথার কোনও মানে নেই। ওর উচিত অন্তত ঠিক দলটা নির্বাচন করা।’
