জাতীয় দলে অভিষেক ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল, স্থানীয় তাজউদ্দিন ও আল-আমিনের। দেশের মাঠে ডেব্যু হামজা চৌধুরীর। আর সংস্কারে নতুনত্ব পাওয়া জাতীয় স্টেডিয়ামের অভিষেকে এই মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ কোচ হাভিয়ার কাবরেরার। তিন বছর ধরে বাংলাদেশে এই স্প্যানিশ।
আজই প্রথম জাতীয় স্টেডিয়ামের ডাগ আউটে দাঁড়ানোর সুযোগ মিলল। ভুটানের বিপক্ষে এই ফিফা প্রীতি মাচ মূলত: আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পরীক্ষা পর্ব। এই যাচাই বাছাইয়ের ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়। কোচ যাদের টেস্ট করেছেন সেই ফাহামিদুল ও তাজ উদ্দিন ছিলেন প্রথম একাদশে। বিরতির পর মাঠে নামেন আল-আমিন।
ভারতের বিপক্ষে খেলা একাদশ থেকে পাঁচ পরিবর্তন করে ভুটানের বিপক্ষে একাদশ সাজানো। ভয় ছিল গত বছরের মতো না বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয় ভুটান। তবে দুই অস্ট্রেলিয়ানকে নিয়েও তেমন কিছু করতে পারেনি তারা। যা সহজ জয় তথা ক্লিন শিট এনে দেয় জামাল ভূঁইয়াদের। ম্যাচ শেষে তাই কোচ কাবরেরার মুখে ক্লিন শিটের প্রশংসা।
কোচ জানান, নতুন এই মাঠের ম্যাচে আমি সবাইকে সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করেছি। একাদশে পরিবর্তন এনেছি। আমরা শুরুর ১০/১৫ মিনিট সুবিধা করতে না পারলেও পরে ঠিকই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। বিরতির আগেই এক গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আরেক গোল।’
এরপর ফাহামিদুল সম্পর্কে বলেন, ‘সে সেট হতে একটু সময় নিয়েছিল। স্নায়ুর চাপের জন্য। পরে ঠিকই জ্বলে ওঠে। দারুণ দারুণ পাস দিয়েছেন। উইথ বল উইদাউট বল সব কিছুতেই সে ছিল দুর্দান্ত। দায়িত্বটা সঠিকভাবেই পালন করেছে। তাই তাকে ম্যাচ টাইম একটু বেশিই দিয়েছি।’
কোচ জানান, কিছু গোল মিস হওয়ায় আমি হতাশ। তবে ভালো লাগছে দুই মিডফিল্ডার গোল পেয়েছেন। দুইজন নতুন গোলদাতা পেলাম। সেট পিসে গোল পেয়েছি। আর হামজাকে দিয়ে সেট পিসের গোলটি ছিল পরিকল্পনারই অংশ। আর এই কাজটা করেছেন আমার কোচিং স্টাফ ডেভিড।
হামজার খেলার প্রশংসা করে বলেন, ‘তার খেলার প্রভাবতো ছিলোই প্রথমার্ধে। এছাড়া এই ম্যাচে আমি আগে ও আজ ক্যাপ্টেন্সি করা জামাল, তপু ও সোহেল রানাকে একই লাইন আপে রাখতে পেরেছি।’
এরপর ভুটানের প্রশংসা করে বলেন, ‘ভুটান ড্র করে এসেছে ইয়েমেনের সাথে। তারা কঠিন দল। তবে আমরা ভালো খেলেছি বলেই জয়। যা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ভালো করার।’
