কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশের সময় র্যাবের হাতে আটক হওয়া ১১ বিদেশিকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে র্যাব ওই বিদেশিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উখিয়া থানার পুলিশের হাতে দেয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাত ৮টার দিকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আটককৃতরা ট্যুরিস্ট ভিসায় এ দেশে এসে মাসের পর মাস অবৈধভাবে বিভিন্ন এনজিওতে চাকরি করে কোটি কোটি টাকা পাচার করছে—এমন অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল উখিয়ার টিঅ্যান্ডটি এলাকা থেকে তাদের আটক করে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-৭-এর সদস্য শহীদ এ টি এম জাফর আলম জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার টিঅ্যান্ডটি এলাকায় রোহিঙ্গাদের ত্রাণকেন্দ্রের সামনে এনজিওকর্মী বহনকারী গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১১ বিদেশিকে আটক করা হয়। পরে তাদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-৭-এর কম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন বলেন, ‘আটক বিদেশি নাগরিকরা ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে বিভিন্ন এনজিওতে কর্মরত আছে। তারা এখানে অবস্থান করে চাকরি করার বৈধতা উপস্থাপন করতে পারেনি।’
উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বিকেলে জানান, ওই ১১ বিদেশির মধ্যে যুক্তরাজ্যের দুজন, নেদারল্যান্ডসের একজন, তুরস্কের একজন, দক্ষিণ কোরিয়ার একজন, কেনিয়ার একজন, ইতালির দুজন, ব্রাজিলের একজন, বেলজিয়ামের একজন ও নরওয়ের একজন।
ওসি আরো জানান, ত্রাণকেন্দ্রের সামনে এই বিদেশি নাগরিকদের দেখে র্যাবের একটি টহলদল সন্দেহজনক মনে করায় তাদের পরিচয় জানতে চায়। এ সময় তারা পাসপোর্ট দেখাতে না পারায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওসি কালের কণ্ঠকে জানান, বিদেশি ওই ১১ নাগরিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা মুচলেকা দিয়ে বলেছেন, এখন থেকে পাসপোর্টের কপি এবং বাংলাদেশে কাজ করার অনুমতিপত্রের কপি সঙ্গে রাখবেন। এমন শর্তে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বিদেশিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, উখিয়া ও টেকনাফে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিকের অবস্থানের সুযোগে বহু বিদেশি ট্যুরিস্ট ভিসায় মানবিক সেবার নামে বিভিন্ন এনজিওতে কাজ করছে। এরা সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।