বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার হরণে ক্ষমতাশালী দেশগুলোকে দায়ী করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলছে, বিশ্বনেতারাই ঘৃণা ছড়িয়েছেন, অধিকার হরণ করেছেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে অবজ্ঞা করে গিয়ে বৈষম্য আর নিয়ন্ত্রণহীন দুর্দশাকে অবলীলায় বাড়তে দিয়েছেন। সংস্থাটির সবশেষ বার্ষিক রিপোর্টে এভাবেই বর্ণিত হয়েছে গত এক বছরের চিত্র। 

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে বিশ্ব মানবাধিকারের পেছনে হাটা প্রত্যক্ষ করেছে। নিপীড়নের চিহ্ন সবখানে ছিল। বিশ্বের সরকারগুলো অধিকার নিয়ে সরব থাকাদের শক্ত হাতে দমন অব্যাহত রেখেছে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও পোলান্ডে নারী অধিকারের পতন ঘটেছে। এসবের ফলে ফুঁসে ওঠা গণবিক্ষোভ দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো ছোট নয় আমাদের আরও কঠোর হয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

অ্যামনেস্টি ইন্টরন্যাশনালের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বজুড়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব। মিয়ানমার থেকে শুরু করে সিরিয়া-ইয়েমেনে দেখা গেছে মানবাধিকার প্রশ্নে নেতৃত্ব-শূন্যতা। লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত অধিকারের পৃথিবীকে বিশ্বনেতারা পেছনের দিকে ঠেলছেন বলেও অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া-চীন নাগরিক অধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে পারেনি। কেবল তাই নয়। তারা নিষ্ঠুরতার মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার হরণ করেছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলা থেকে তিউনিশিয়া পর্যন্ত সামাজিক অসন্তোষ বেড়েছে। জনগণ খাবার, পানি, স্বাস্থ্য ও আশ্রয়ের মতো মৌলিক অধিকারগুলোও পায়নি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়ায় সম্পদশালী দেশগুলোর নেতারা বৈশ্বিক শরণার্থী সমস্যা নিয়ে কথা বললেও তাদের ভাগ্যের প্রশ্নে অনুভূতিহীন থেকেছেন। এই পরিস্থিতিতে, রাষ্ট্রীয় ঘৃণাবাদী হুমকি দিয়ে সংখ্যালঘুদের বৈষম্যকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়েছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews