মাত্র ২৪ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষাখাতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা সাব্বিন ইসলাম সানন। ‘Tawakkul Malaysia Education Consultancy’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথে নিরবিচারে সহায়তা করে গড়ে তুলেছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এই অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি সম্প্রতি পেয়েছেন ‘এক্সিলেন্স ইন সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’।
সাননকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয় “Young Entrepreneur of the Year” ক্যাটাগরিতে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন পুরস্কারটি তাঁর হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিলারা জামান, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শাহিদুল হারুন, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ সহ দেশের বিভিন্ন খাতের গুণী ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে World of Unity ও Greenleaf Foundation এবং মিডিয়া পার্টনার ছিল ইটিভি।
উল্লেখযোগ্য হলো, মালয়েশিয়ায় নিজে পড়তে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই সানন উপলব্ধি করেন—বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তির প্রক্রিয়া, ভিসা, আবাসন, টিকিট বুকিংসহ বিভিন্ন ধাপে জটিলতার সম্মুখীন হন। এই সমস্যাগুলোর সমাধানে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন Tawakkul Malaysia Education Consultancy।
তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ৭০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীকে সফলভাবে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এনরোল করিয়েছে এবং ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী পেয়েছেন বিনামূল্যে ভর্তি, ভিসা প্রসেসিং, টিকিট, আবাসন ও এয়ারপোর্ট পিকআপ সেবা—সহনীয় সার্ভিস চার্জের আওতায়।
ঢাকার মোহাম্মদপুরে হেড অফিস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির একটি শাখা রয়েছে পটুয়াখালীতে এবং মূল কার্যক্রম পরিচালিত হয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে। Tawakkul Malaysia বর্তমানে কাজ করছে অন্তত ১০টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে, যার মধ্যে রয়েছে: Asia Pacific University, University of Cyberjaya, SEGi University, INTI International University, UNIKL, UNITEN, MMU ও Nilai University প্রভৃতি।
এই অর্জন সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় সাব্বিন ইসলাম সানন বলেন, “এই সম্মাননা আমার জন্য শুধু একটি পুরস্কার নয়, বরং তরুণদের আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রেরণা। আমি কৃতজ্ঞ এবং আনন্দিত—এই স্বীকৃতি আমাকে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।”
তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে Tawakkul-এর কার্যক্রম কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতেও সম্প্রসারণ করা। তরুণদের আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার যাত্রাকে সহজতর করতে সাননের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে এক অনন্য অবদান।