মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি গবেষক ফাদি আল বাতসিকে হত্যার পেছনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তার অস্ত্র কেনা সংক্রান্ত যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর দিয়েছে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই চালাতে গাজার জন্য উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনার আলোচনা চালাচ্ছিলেন পাওয়ার সিস্টেম ও এনার্জি সেভিংস-এর এই বিশেষজ্ঞ। আর সেকারণেই ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের প্রধান ইয়োশি কোহেনের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে এই খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
গত শনিবার (২১ এপ্রিল) কুয়ালালামপুরের বাসা থেকে ফজরের নামাজ পড়তে বের হওয়ার পর দুই মোটরসাইকেল আরোহীর ছোড়া গুলিতে নিহত হন আল বাতস। গাজায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা শেষ করে আল বাতস মালয়েশিয়ায় তার পিএইচডি সম্পন্ন করছিলেন। ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস তাকে নিজেদের সদস্য দাবি করে থাকে। তিনি নিজেও হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করতেন না বলেও জানিয়েছেন তার বন্ধুরা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করতে কিভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করা যায় তা জানার প্রশিক্ষণের জন্যেই বাতসেকে বাইরে পাঠিয়েছিল হামাস।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে মোসাদ প্রধান ইয়োশি কোহেনের নির্দেশে বৃহত্তর একটি অভিযানের অংশ হিসেবে আল বাতসে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সাংবাদিক রনেন বার্গম্যান ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিষয়ক সংবাদদাতা হান্নাহ বিচের লিখিত ওই যৌথ প্রতিবেদনে পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে বলা হয়েছে, আল বাতস সম্ভবত মালয়েশিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি সামরিক উপকরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত যোগাযোগ সামগ্রীর একটি চালান আটক করেছে মিশর। ওই চালান পাঠানোর সঙ্গে আল বাতস জড়িত ছিলেন বলে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। জাতিসংঘের একটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই খবরে বলা হয়েছে, অবরোধের কবলে থাকা পিয়ংইয়ং সম্প্রতি কুয়ালালামপুরের মধ্য দিয়ে সামরিক মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিক্রির জন্য বেনামি কোম্পানি খুলছে।