ইন্টারনেটের গতি মাপার আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওকলার ‘স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স’ মতে, বিশ্বের ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫ নম্বরে (জুন ২০২১)। বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে শুধু যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান এবং বাণিজ্য–নিষেধাজ্ঞায় দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকটে থাকা ভেনেজুয়েলা। যে উগান্ডাকে নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত ট্রল করি, তারাও আমাদের চেয়ে ৮ ধাপ এগিয়ে রয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশ আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া থেকে ৭ ধাপ, তানজানিয়া থেকে ৫, সোমালিয়া থেকে ৪, ঘানা থেকে ৩, সুদান থেকে ২ এবং জিম্বাবুয়ে থেকে ১ ধাপ পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশের সব কটি নেটওয়ার্কের প্রধানতম যন্ত্রপাতি নির্মাণ ও সেবা সরবরাহকারী চীন থেকে ১২৯টি দেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ, যেখানে ডাউনলিংকে গড় গতি পার্থক্য সেকেন্ডে ১৪৭ মেগাবিট। বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গড় লেটেন্সি ও জিটার যথাক্রমে ৪৩ ও ৪৭ মিলিসেকেন্ড। যদিও জানুয়ারি মেজরমেন্টে লেটেন্সি ও জিটার ছিল ৩৮ ও ৩৯ মিলিসেকেন্ড করে। এই ছয় মাসে বাংলাদেশের এক ধাপ অবনমনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় এখানে। একটি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য যে সময় নেয়, তার নির্দেশক হচ্ছে লেটেন্সি ও জিটার। মিলিসেকেন্ড স্কেলে এ সময় যত বেশি লাগবে, ইন্টারনেট গতি ততই কম হবে।