সাক্ষীদের খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হচ্ছে জানিয়ে পিপি বিমল বলেন, রানা প্লাজা ধসে পঙ্গুত্ব বরণ করা শ্রমিকেরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসা নিয়ে তাঁদের দুর্দশার কথা বিচারককে বলছেন। সাক্ষ্য দেওয়ার পর তাঁরা যাতায়াতভাড়াও চান। কারণ, তাঁদের যাতায়াতভাড়া থাকে না। প্রত্যেকে কষ্টে রয়েছেন।
অবশ্য সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, একটি মামলায় সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ নেওয়ার দরকার পড়ে না। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য নিয়ে আদালত রায় ঘোষণা করতে পারেন।
ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা আশা করি, রানা প্লাজা ধসের এক যুগ পূর্তির আগেই খুনের মামলার বিচার শেষ হবে।’
রানা প্লাজা ধসে পঙ্গুত্ব বরণ করা পোশাকশ্রমিক নিলুফা বেগম ও শিলা বেগম বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি-বেসরকারি কোনো পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ তাঁরা পাননি। বরং শারীরিক নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।