সেনাবাহিনী জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ দেয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেছে।
শুক্রবার রাজধানীর হারারেতে দেশটির ওপেন ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশটিতে কী হচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা আরও বাড়লো।গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে উত্তরাধিকার বেছে নেয়া সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে দেশটির ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই কার্যত গৃহবন্দী ছিলেন রবার্ট মুগাবে।বিবিসির খবরে বলা হয়, নীল রঙের গাউন ও হ্যাট পরে লালগালিচা বিছানো পথে হেঁটে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুগাবে। তবে তার সঙ্গে স্ত্রী গ্রেস মুগাবে বা শিক্ষামন্ত্রী জনাথন মোয়োকে দেখা যায়নি।প্রেসিডেন্ট মুগাবে গত সপ্তাহে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করলে রাজনৈতিক সংকটের সূচনা হয়। নানগাগওয়াকে এতদিন প্রেসিডেন্ট মুগাবের উত্তরসূরী ভাবা হতো। তবে সম্প্রতি তার জায়গায় ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবের নাম সামনে চলে আসে।গত মঙ্গলবার সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ৯৩ বছর বয়সী মুগাবেকে গৃহবন্দী করে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করছেন।এরপরই বরখাস্ত হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় পালিয়ে যাওয়া নানগাগওয়া পরদিন বুধবার দেশে ফেরেন। এরপর শুরু হয় মুগাবের সঙ্গে আলোচনা।৭৫ বছর বয়সী নানগাগওয়া দেশটির সেনাবাহিনীর কাছে বেশ জনপ্রিয়। মুগাবের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় সেনাবাহিনী। আর এ কারণেই প্রেসিডেন্ট পদে নানগাগওয়াকে বসাতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।