পাকিস্তান দলের দিকে তাকালে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। নতুন ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি। মূলত তরুণদের সুযোগ করে দিতেই পাকিস্তান বোর্ডের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তবে তাদের এই এক্সপেরিমেন্ট মুখ থুবড়ে পড়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতেই। পরশুরাতে ফারুকি-নবিদের বোলিং তোপে মাত্র ৯২ রানে আটকে যায় পাকিস্তান। ছোট এই লক্ষ তাড়া করতে নেমে ১৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় আফগানিস্তান।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান বিহীন পাকিস্তান। নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে তারা। বলার মতো জুটি আসেনি একটিও। ছয়ে নামা ইমাদ ওয়াসিম করেন সর্বোচ্চ ১৮ রান। পিএসএল মাতানো সাইম আইয়ুব, তৈয়ব তাহির আর শাদাব দুই অঙ্কের রান পান। তবে দল পায়নি চ্যালেঞ্জ করার মতো পুঁজি। পাকিস্তানকে ধসিয়ে ফজল হক ফারুকি ১৩ রানে নেন ২ উইকেট আর নবির শিকার ২ উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইহসানউল্লাহ, ইমাদদের তোপে পড়ে আফগান ব্যাটাররা। দুই ওপেনার জুতসই শুরুর পর ফিরে গেলে চাপে পড়েছিল আফগানরা। ২৭ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। পরে করিম জানাতও দরের রান পঞ্চাশ পেরুনোর ফিরে গেলে বেড়েছিল চাপ। তবে শেষ পর্যন্ত কার্যকর ব্যাটিংয়ে দলকে উদ্ধার করেন মোহাম্মদ নবি আর নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন তারা। কঠিন উইকেটে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন নবি। নাজিবুল্লাহর সংগ্রহ ছিল ১৭ রান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরা হন নবি।
এর আগে একাধিকবার পাকিস্তানকে হারানোর অনেক কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছিল আফগানিস্তান। দুই দলের সর্বশেষ দেখাতেও জিততে পারত আফগানরা। এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে জেতার একদম কাছে গিয়ে শেষ ওভারে নাসিম শাহর দুই ছক্কায় কপাল পুড়েছিল রশিদ-নবিদের। তবে এদিন ঠিকই পেল প্রথমের দেখা। আজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে দুই দল।