সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণতন্ত্র যদি সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। চিন্তাভাবনাগুলো গণতান্ত্রিক করতে হবে। আমি মনের মধ্যে চিন্তা করব; আমি যা বলব, সেটাই সঠিক, তাহলে সঠিকভাবে আমরা গণতন্ত্রচর্চা করতে সক্ষম হব না। একইভাবে সংবাদমাধ্যমগুলোতে আমার কথা বললে ঠিক আছে, আর আমার কথা না বললে ঠিক নেই, এই চিন্তাভাবনাও গণতান্ত্রিক চর্চাকে শক্তিশালী করবে না।’
বিএনপি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্দ্বিধায়, দৃঢ় চিত্তে, স্পষ্ট করে বলতে পারি, আমরা বরাবরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব। সেটা সরকারে থাকি আর না থাকি, যেখানেই থাকি, এই ব্যাপারে আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি।’ তিনি বলেন, তাঁরা কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়া সমর্থন করবেন না।
বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রীয় নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রসঙ্গও আনেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, তাঁদের বিপক্ষে প্রচার চালানো হয় যে তাঁরা সংস্কারের বিরুদ্ধে। প্রায়ই বলা হয়, সংস্কার নয়, তাঁরা নির্বাচন চান। অথচ সংস্কারের বিষয়টি শুরু হয়েছে তাঁদের (বিএনপি) দ্বারা। তিনি বলেন, ‘ওই বাস্তবতা থেকে অযথা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে অন্য পথ দেখানোর চেষ্টা করা, এটার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’