প্রথম আলো :
একটা জামদানি শাড়ি কিনতে গেলে বেশ কয়েক হাজার টাকা থেকে লাখ টাকাও লাগে। এটা কি কমিয়ে আনা সম্ভব? চাইলেও অনেকে কেন জামদানি শাড়ি কিনে পরতে পারেন না?
জামদানি বানানোর উপকরণের দাম খুব কম। দামি শাড়ির জন্য ১ হাজার টাকার বেশি উপকরণ লাগে না। কিন্তু কত দিন ধরে সেটা বানানো হচ্ছে, সেটার ওপর দাম নির্ধারণ হয়। এরপর আছে কারিগরদের মজুরি। একজন ওস্তাদ, আরেকজন শাগরেদ থাকে। এরপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) যোগ হয়। এ কারণে দাম বেড়ে যায়। দিনপ্রতি এখন কারিগরদের মজুরি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। যাঁরা দক্ষ, তাঁরা ৭০০ টাকা করে পান। অন্যরা ৬০০ টাকা করে।
আমি পুরোনো জামদানি থেকে নকশা বের করি। তারপর এটাকে নতুন সেটআপে বসাই। টাঙ্গাইলে সিনথেটিক দিয়ে জামদানির মোটিফে শাড়ি তৈরি হচ্ছে। অনেক ক্রেতা বুঝতে পারেন না। জামদানির নকশা বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো না। মোটিফের তো অভাব নেই। জামদানির নকশা দিতে মানা করি।