মিরপুরের সুইমিংপুলে ঝড় তুলে ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন মনির খান তন্ময়। প্রাপ্তির উচ্ছ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই সাঁতারু শুরুতে বললেন ‘সাঁতার অনেক কষ্টের’। পরক্ষণেই বললেন, কষ্টের পথ পাড়ি দিতে চান বড় স্বপ্ন নিয়ে।
জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে বালক ১৮-২০ বছর বয়সীদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ৫৫ দশমিক ২১ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন তন্ময়। এই তরুণ ভেঙেছেন ২০২১ সালে গোপালগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের হয়ে মোহাম্মদ ইসলামের গড়া ৫৫ দশমিক ৫৪ সেকেন্ডের রেকর্ড।
প্রার্থনা, পরিশ্রমের ফল পেয়ে দারুণ খুশি তন্ময়। এই তরুণের চোখে ২০২৬ সালের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) আলো ছড়ানোর আঁকিবুকি।
“রেকর্ড ভাঙতে পেরে আমি সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি…সাঁতার অনেক কষ্টের, কিন্তু যখন রেকর্ড করি, তখন এই কষ্ট আর কষ্ট মনে হয় না।”
“আমার সামনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় প্রতিযোগিতায় ভালো একটা রেজাল্ট করা। এরপর সামনে এসএ গেমস আছে, সেখানে আমি বাংলাদেশের হয়ে সোনার পদক জিততে চাই।”
বছর জুড়ে বিকেএসপিতে স্থানীয় কোচের অধীনে চলে অনুশীলন। অলিম্পিকসে অংশ নেওয়ার মতো বড় স্বপ্ন তাড়া করতে বিদেশি কোচের অধীনে অনুশীলনের গুরুত্বও তুলে ধরলেন তন্ময়। যে দাবি স্রেফ তার একার নয়, দেশের সিনিয়র-জুনিয়র সব সাঁতারুরই।
“বিকেএসপি হচ্ছে খেলাধুলার একটা আঁতুড়ঘর। বিকেএসপি ছাড়া আমি এরকম সাঁতারু হতে পারতাম না। বাংলাদেশে বিদেশি কোচ এলে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও ভালো কিছু করতে পারব। এতে করে অলিম্পিকসেও কোয়ালিফাই করার সুযোগ তৈরি হবে আমাদের। ওয়াইল্ড কার্ড ছাড়াই আমরা অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে পারব।”
প্রতিযোগিতার তৃতীয় দিনেও ডাইভিংয়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। তিন মিটার স্প্রিংবোর্ড ডাইভিংয়ে বিকেএসপির তারিন খাঁ ২৭১ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট স্কোর করে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন। গত বছর শিমুল পারভেজের করা রেকর্ড ভাঙেন তিনি। বিকেএসপির শিমুল ২৫৫ দশমিক ৪ স্কোর করেছিলেন।