ইসরায়েলের সামরিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে পাঁচটি ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। সোমবার (২১ জুলাই) হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভিতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছেন গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মুখপাত্র দাবি করেছেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল তেলআবিবে একটি সামরিক ঘাঁটি, বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইসরায়েলের দক্ষিণে এলাত বন্দর, রামোন বিমানবন্দর এবং আশদোদ এলাকার একটি জরুরি স্থাপনা। তার দাবি, ‘অপারেশন সফল হয়েছে’, যদিও কোনও ভিডিও বা তথ্য দিয়ে তিনি তা প্রমাণ করেননি।
সারি বলেন, এই হামলা গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব এবং একই দিনে হোদেইদা বন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া।
ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এই দাবির কয়েক ঘণ্টা আগেই ইসরায়েল হোদেইদা বন্দরে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল হুথি নিয়ন্ত্রিত সামরিক স্থাপনা, জ্বালানি সংরক্ষণাগার, বন্দর মেরামতের যন্ত্রপাতি এবং হুথিদের শত্রুতামূলক সামুদ্রিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত জাহাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বন্দরে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে হোদেইদা শহর, আগুন ও ধোঁয়ার কুন্ডলী মাইলখানেক দূর থেকেও দেখা গেছে।
এখন পর্যন্ত হুথি প্রশাসন হতাহতের বিষয়ে কিছু জানায়নি।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। হুথিরা ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চল, রাজধানী সানা এবং হোদেইদা বন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে।