রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার নামের একটি স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন ইমান আকিদা রক্ষা কমিটির সদস্যরা। নুরাল পাগলার কবর থেকে লাশ উঠিয়ে পুড়িয়ে ভস্মীভূতও করেছেন তারা। ইমান আকিদা রক্ষার অভিযানে দরবার শরিফের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। যাদের একজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা দুই সপ্তাহ আগে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তার অসিয়ত মোতাবেক দরবার এলাকায় কয়েক ফুট উঁচু স্থানে তাকে বিশেষ কায়দায় কবর দেওয়া হয়। এটিকে শরিয়ত পরিপন্থি দাবি করে স্থানীয় আলেম সমাজ কবর সমতল করাসহ বিভিন্ন দাবি জানায়। তাতে সাড়া না দেওয়ায় দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় আলেমরা শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ ও পরে ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার জুমার নামাজের পর আনসার ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে উপজেলা ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি। বেলা ২টার পর থেকে আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হয় শত শত মানুষ। আড়াইটার দিকে হাতুড়ি, শাবল, লাঠিসোঁটাসহ একদল লোক মিছিল নিয়ে আসে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে মঞ্চে বক্তব্য চলাকালে কিছু লোক পুলিশের দুটি গাড়ি এবং ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করে। উত্তেজিত লোকজন মিছিল নিয়ে নুরাল পাগলার দরবারের ওপর হামলে পড়ে। ভিতর থেকে হামলাকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন নুরাল পাগলার ভক্তরা। উন্মত্ত জনতার ইটপাটকেল নিক্ষেপে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়। কিছু লোক দরবারের দেয়াল টপকে ভিতরে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা কবর থেকে লাশ তুলে ভস্মীভূত করে। নুরাল পাগলার দরবারে হামলা হতে পারে এটি প্রশাসনের অজানা ছিল না।  কিন্তু ধর্মান্ধদের কাছে তাদের অসহায়ত্ব প্রমাণিত হয়েছে। ইসলামে মৃত ব্যক্তির ওপর প্রতিহিংসা অনুমোদন করা হয় না। আমরা গোয়ালন্দের বর্বর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews