যারা মানসিক রোগে ভোগে, তারা জানে যে এই রোগ কখনো ছেড়ে যায় না। কখনো রোগ ভালো হয়, কখনো আবার অল্পতেই খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু প্রতিকার বলে কিছু নেই। এটা এমন এক লড়াই, যার কোনো ‘ফিনিশ লাইন’ থাকে না। রিওর অলিম্পিকের পর অনেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছে, আমাকে নিয়ে অনেক কিছু লেখা হয়েছে: ‘মাইকেল ফেলপস হতাশা নিয়ে মুখ খুললেন’, ‘মানসিক রোগের চিকিৎসা নিলেন’, ‘আবার অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতলেন’, ‘এরপর সুখে-শান্তিতে-সুস্থভাবে বসবাস করতে শুরু করলেন’ ইত্যাদি।
আহা! এসব যদি সত্যি হতো! এসব যদি এতই সহজ হতো, কত ভালোই না হতো! কিন্তু সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, এসব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের অজ্ঞতা আর মূর্খতা আর কিছুই না। যাঁরা কোনোদিন অবসাদ, হতাশা বা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারের মতো মানসিক সমস্যায় ভোগেননি, তাঁরা এর সংগ্রামটা বুঝবেন না।
আমি চিকিৎসা নিয়েছি, ক্যারিয়ারের সফলতম অবস্থানে থাকা অবস্থায় অবসর নিয়েছি। সবার জানামতে এটা দারুণ এক সাফল্যের গল্প হতে পারত। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমি কোনোদিন সুস্থ হতে পারব না। মানসিক রোগ আমাকে আর কোনোদিন ছেড়ে যাবে না। জীবনকে স্বাভাবিক গতিতে ফেরানোর জন্য আমাকে এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে এবং নিজের মানসিক স্বাস্থ্যকে সব সময় প্রাধান্য দিতে হবে। আর হ্যাঁ, আমি যা বলছি, এ সবই বলা সহজ কিন্তু করা অনেক কঠিন।