জার্মানি দ্রুতই তাদের বোমারোধী বাঙ্কার ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

জার্মান সরকারের সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন বেসামরিক নাগরিক সুরক্ষা কর্মকর্তা র‌ায়েফ সতর্ক করে বলেছেন, আগামী চার বছরের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে হামলার জন্য জার্মানির প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, সংঘাতের বাস্তাবতায় জার্মানির জেগে ওঠা উচিত। বর্তমান অবস্থায় জার্মানির পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই।

জার্মান একটি পত্রিকাকে রায়েফ বলেন, “জার্মানিতে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপকভাবে একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, যুদ্ধ এমন কোনও ঘটনা নয় যার জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার।

সেই বিশ্বাস এখন পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন ইউরোপে একটি বড় ধরনের আগ্রাসী যুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন।”

এই ঝুঁকির মুখে প্রস্তুতি হিসাবে জার্মানির বিভিন্ন সুড়ঙ্গ, মেট্রো স্টেশন, মাটির নিচের গ্যারেজ, গাড়ি পার্কিং এলাকা এবং সরকারি ভবনের কক্ষগুলোকে ১০ লাখ মানুষের জন্য সুরক্ষিত আশ্রয়স্থল করে তোলার জন্য জাতীয় পর্যায়ে প্রচেষ্টা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তার সংস্থা এই গ্রীষ্মেই এ বিষয়ে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা পেশ করবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার চলমান হামলা অন্যান্য দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এই আতঙ্ক বিশেষত বাল্টিক দেশগুলোতে হলেও এর সঙ্গে আশঙ্কায় আছে পোল্যান্ড এবং জার্মানিও। রাশিয়া ইউরোপে নতুন যুদ্ধের পথে পা বাড়াতে পারে বলে দেশগুলো শঙ্কিত।

‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকা জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী সময়ে জার্মানিতে প্রায় ২ হাজার বাঙ্কার এবং সুরক্ষিত আশ্রয়কক্ষ রয়ে গেছে। এর মধ্যে কার্যকর আছে প্রায় ৫৮০ টি। এগুলোতে প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে, যা জার্মানির মোট জনসংখ্যার তুলনায় নগণ্য।

অন্যদিকে, ফিনল্যান্ডের আছে ৫০ হাজার সুরক্ষিত আশ্রয়কক্ষ। সেগুলোতে আশ্রয় নিতে পারে দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews