যুগান্তর : রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের বাজার বৃদ্ধিতে কোন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে?
সেলিম উল্যা সেলিম : বেড়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। এছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হওয়ায় দেশীয় রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজারের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে-এ বিষয়টিও এ পণ্যের বাজার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
যুগান্তর : ক্রেতাদের কোন চাহিদার দিকে কোম্পানিগুলোর দৃষ্টি?
সেলিম উল্যা সেলিম : আমরা যমুনা রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের কথা বলতে পারি, সময়োপযোগী, ক্রেতাদের চাহিদা আর সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে যমুনা ইলেকট্রনিক্স অবিরত কাজ করছে। এছাড়া ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় যমুনা রেফ্রিজারেটর বিভিন্ন ডিজাইন, সাইজ, ধারণক্ষমতা ও দামের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। সাশ্রয়ী মূল্য, গুণগতমান ও টেকসই পণ্য, দেশের মানুষের চাহিদা আর এ দেশের আবহাওয়া উপযোগী পণ্য হওয়ার কারণে যমুনা রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার আজ কোটি মানুষের আস্থায় ধন্য।
যুগান্তর : সাশ্রয়ী দামের দেশি ব্র্যান্ডের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা কেমন?
সেলিম উল্যা সেলিম : একটা সময় এ শিল্প ছিল পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের ফলে উৎপাদন খরচ কমছে, যার ফলে সাশ্রয়ী দামে গুণগত পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছাচ্ছে। ফলে দেশি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারে ক্রেতাদের আস্থা শতভাগ।
যুগান্তর : প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্রি কেমন?
সেলিম উল্যা সেলিম : একটা সময় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরাঞ্চলে রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের ব্যবহার বেশি থাকলেও গত দেড় দশকে দেশের প্রতিটি শহর, গ্রামে, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে গেছে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার।
যুগান্তর : ভোক্তা বিক্রয়োত্তর সেবা কিভাবে পাচ্ছে?
সেলিম উল্যা সেলিম : যমুনা রেফ্রিজারেটর বাজারজাত করার খুব অল্প সময়ের ভেতরেই মানুষের মুখে এমন কথা প্রচলিত হয়ে গেছে যে, একমাত্র যমুনাই গুণগত মানসম্পন্ন রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার সরবরাহ করে। ফলে যমুনার পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয় পরবর্তী ভোক্তার অভিযোগের সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। এরপরও আমাদের বিক্রয়োত্তর সেবা আধুনিক ও দ্রুত সময়ে করার লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত সাপোর্ট সিস্টেম রয়েছে। দেশব্যাপী বিস্তৃত আমাদের সার্ভিস সেন্টারগুলোতে ক্রেতা সহজে বিক্রয় পরবর্তী সেবা নিতে পারবেন।
যুগান্তর : প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা কতটা ঘটান আপনাদের পণ্যে?
সেলিম উল্যা সেলিম : উৎপাদনের শুরুর প্রথম দিন থেকেই যমুনা রেফ্রিজারেটর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত কাঁচামাল, দক্ষ জনবল দিয়ে আন্তর্জাতিকমানের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করছে। রেফ্রিজারেটর উৎপাদনে আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, যার ফলে আমাদের ফ্রিজে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এবং খাবারের মান সঠিক থাকে। আমরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন ফিচার ও ডিজাইনের ফ্রিজ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করছি। আমাদের রয়েছে একদল মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারের সমন্বয়ে গঠিত নিজস্ব আরএনডি টিম, যারা পণ্যের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও মানোন্নয়নে সদা তৎপর।
যুগান্তর : দেশে এখন রেফ্রিজারেটরের বাজার কত বড়?
সেলিম উল্যা সেলিম : খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে রেফ্রিজারেটরের বাজার এখন ১১-১২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। বছরে এ বাজারের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫-২০ শতাংশ। দেশে রেফ্রিজারেটরের বাজারের ৮০ শতাংশেরও বেশি মার্কেট শেয়ার এখন যমুনার মতো দেশীয় কোম্পানির দখলে।
যুগান্তর : অনেক সময় দেখা যায়, রেফ্রিজারেটরে খাবার রাখলে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। এটির সমাধান কী?
সেলিম উল্যা সেলিম : যমুনা রেফ্রিজারেটরে রয়েছে আলট্রা-মাইক্রো ফোমিং ইনসুলেশন টেকনোলজি, যা ফ্রিজের অভ্যন্তরে সঠিক ও প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা ধরে রাখায় খাবার সংরক্ষণের পরও খাবার থাকে প্রকৃতির মতোই সতেজ ও টাটকা। এছাড়া আমাদের রেফ্রিজারেটরগুলো সিলিকন জেলমুক্ত, ১০০ শতাংশ ফুড গ্রেড ম্যাটেরিয়াল, আন্টিব্যাকটিরিয়াল গ্যাস্কেট দিয়ে তৈরি, ফলে খাবার থাকে নিরাপদ ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত।
যুগান্তর : বর্তমানে কী প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর-ফ্রিজার বেশি চলছে?
সেলিম উল্যা সেলিম : রেফ্রিজারেটরের হৃদয় বা হার্ট হচ্ছে কম্প্রেসর ও আধুনিক রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজার কম্প্রেসর হচ্ছে ইনভার্টার প্রযুক্তিসমৃদ্ধ। ফ্রিজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি হচ্ছে ইনভার্টার। ইনভার্টার থাকার কারণে ফ্রিজ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয়। ফলে বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসবে।