এবারের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আনুষ্ঠানিক ফাইনাল ম্যাচ নেই। টুর্নামেন্ট হচ্ছে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল হবে চ্যাম্পিয়ন। সেই হিসাবে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার আজকের (সোমবার) ম্যাচটি রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। ম্যাচটিতে হার এড়ালেই শিরোপা উঠবে বাংলাদেশের হাতে।
এবারের আসরে ভারত না থাকায় বাংলাদেশই ফেভারিট। শিরোপা জয়ের পথে স্বাগতিকদের সবচেয়ে বড় বাধা নেপাল। দুই দলের প্রথম ম্যাচেও মিলেছে তার প্রমাণ। জমজমাট লড়াই শেষে যদিও ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে। তবু আজ ন্যুনতম ব্যবধানে হারলেও শিরোপা হাতছাড়া হবে বাংলাদেশের।
তার মানে আজকের সন্ধ্যা ৭টার ম্যাচে ড্র করলেই চলবে বাংলাদেশের। তবে সেই মানসিকতা নিয়ে খেলবে না বাংলাদেশ। কৌশলে পরিবর্তন আনতে চান না কোচ পিটার বাটলার। নেপালকে হারিয়েই শিরোপা উৎসব করতে চান তিনি।
‘নেপাল শক্ত প্রতিপক্ষ। তাদের সঙ্গে শেষ কয়েকটি ম্যাচের মতো খেললে হবে না। আমরা সেরা দলটাই নামাব। যতটা সম্ভব আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হবে। আক্রমণই হবে আমাদের মূল অস্ত্র।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯-১ গোলের জয় পাওয়া ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা মোসাম্মাৎ সাগরিকা পরের ম্যাচেও আলো ছড়ান। কিন্তু সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুলোচুলিতে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাগার পাশাপাশি তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয় তাকে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ আবার মাঠে দেখা যাবে সাগরিকাকে।
টুর্নামেন্টে নেপাল এক ম্যাচ হারলেও গোল পার্থক্যে তারা আছে ভালো অবস্থানে। ৩০ গোল দেওয়ার বিপরীতে তারা খেয়েছে স্রেফ চারটি। টুর্নামেন্টে দলটির গোলপার্থক্য +২৬। যেখানে বাংলাদেশের গোলপার্থক্য +২০। ২৪ গোল দেওয়ার পাশাপাশি চারটি গোল খেয়েছে দলটি।
আজকের ম্যাচ নেপাল ১ গোলের ব্যবধানে জিতলে দেখা হবে দুই দলের মধ্যকার গোল পার্থক্য। সেক্ষেত্রে হেরে যাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সামনে হিসাব তাই একটাই। শিরোপার হাসি হাসতে এই ম্যাচে তাই হারা যাবে না।