কিন্তু ছাত্র সংসদ বা ইউনিয়ন বন্ধ হওয়ায় মোটেই সন্ত্রাস কমেনি। প্রত্যেক কালেই ক্ষমতাবানেরা সন্ত্রাস করে, এখনো ক্ষমতাবানদের দ্বারাই ছাত্রছাত্রীরা রক্তাক্ত হয়। ইউনিয়ন না থাকলে ক্ষমতাবানদের বাড়তি সুবিধা এটুকু—শিক্ষার্থীদের অনায়াসে পেটানো যায়। পিটিয়ে সাংবাদিক ডেকে বাইরের ইন্ধনের দিকে আঙুল দেখানো যায়। ক্যাম্পাসে গণতন্ত্রচর্চা করতে দেওয়া হবে না বলে বহুকাল দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের ইউনিয়নের নিয়মিত নির্বাচন বন্ধ।
ঔপনিবেশিক আমলেও যা হয়নি, স্বাধীনতার আমলে তা-ই সম্ভব হয়—ক্যাম্পাস, সমাজ ও দেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনাচিন্তাকে ‘অপরাধ’ ও ‘সন্ত্রাস’ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। শিক্ষার্থীদের মতামত গঠনের প্রক্রিয়া বন্ধ করা গেছে এতে। সমাজের নিচ থেকে নেতৃত্ব তৈরির পথ রুদ্ধ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশাল বিশাল তহবিলের ওপর প্রশ্নহীন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে গুটিকয়েকের। জ্ঞান-অর্থনীতির প্রকৃত প্রতিপক্ষরা বেশ আড়ালে থাকতে পারছে এতে।
আজকে নির্মীয়মাণ পদ্মা সেতুর পিলারে একটা বার্জ ধাক্কা খেলে পুরো দেশ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। কিন্তু দেশের সম্পদ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনাচার নিয়ে তরুণদের আকুতিতে প্রতিক্রিয়া অতি সামান্য। অথচ এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে দেশের প্রতিটি পরিবারের হিস্যা আছে।