লিটন দাস ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচেও দারুণ শুরু করেন। গত ম্যাচে যেখান থেকে শেষ করেন ঠিক যেন সেখান থেকেই। ওপেনে নেমে ১৪ বলে ২৭ রান তুলে ফেলেন তিনি। সঙ্গে সাব্বিরের সাবধানী শুরু এ ম্যাচেও। কিন্তু দলের রান ৩৮ হলে পরপর ফিরে যান লিটন-সাব্বির। বাকিটা যেন একাই খেললেন ইনজুরির কারণে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা ওয়ার্নার। তার দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ১৫৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে সিলেট।
টস জিতে এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সিলেট অধিনায়ক ওয়ার্নার। ভালো শুরুর পর মধ্য একটু চাপ গেছে তাদের। তবে দারুণ দুই ক্যাচ ধরেছেন ঢাকার উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান। ভালো শুরু করা আফিফের দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরের তিনি। আফিফ ফিরে যান ১৭ বরে ১৯ রান করে। এরপর অলক কাপালিকে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে ফেরান নুরুল হাসান।
সিলেটের হয়ে চলতি আসরে ভালো ফর্মে থাকা নিকোলাস পুরান এ ম্যাচে ব্যর্থ হন। তবে আগের ম্যাচে দারুণ এক ফিফটি পাওয়া ওয়ার্নার এ ম্যাচেও তুলে নেন ফিফটি। খেলেন ৪৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। তার দারুণ ওই ইনিংস সাজানো ছিল আটটি চার এবং বিশাল এক ছক্কার মারে। আসরের সেরা রান সংগ্রাহকদেরও একজন হয়ে গেছেন তিনি। পেয়ে গেছেন তিনটি ফিফটি। ফিরে যাওয়ার আগে দারুণ ফর্ম দেখিয়ে বিপিএল দর্শকদের আক্ষেপ তৈরি করলেন এই ওপেনার। ওয়ার্নারের পরে সিলেটের উইকেটরক্ষক জাকির আলী ১৮ বলে ২৫ রান করলে ১৫৮ রানে থামে তারা।
ঢাকার হয়ে এ ম্যাচে আন্দ্রে ব্রিচ ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। রুবেল হোসেন ৪ ওভারে ২৪ রানের খরচায় একটি উইকেট পান। সাকিব ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়া সুনীল নারিন এবং আন্দে রাসেল একটি উইকেট ঝুলিতে পোরেন।