অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদে যোগ দিয়েছেন পরিচালক-প্রযোজক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপর থেকেই আশার সঞ্চার হয়েছে, বাংলা ছবির জন্য নতুন কোনো সুসংবাদ আসতে পারে।
সাধারণত বিনোদন দুনিয়া থেকে কেউ রাজনীতিতে যোগ দিলে সকলেই প্রত্যাশা করেন রাজনৈতিক দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সংস্কৃতি ও বিনোদন দুনিয়ার ভাল-মন্দও দেখবেন তিনি। ফারুকীর কাছেও কী সেই প্রত্যাশাই রাখছেন অভিনেতা, অভিনেত্রীরা? ফারুকী দায়িত্ব নেওয়ায় কি বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে?
অভিনেত্রী তমা জানালেন, আমি রাজনীতি বুঝি না। বিষয়টি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করি। তার পরেও মনে হয়, বিনোদন দুনিয়ার কোনো ব্যক্তি যদি বিষয়টি বোঝেন, তা হলে তিনি যোগ দিতেই পারেন। সেই জায়গা থেকে ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি। কারণ, ফারুকী রাজনীতির পাশাপাশি ছবির জগতকেও সমান ভালোবাসেন। এ রকম কোনো মানুষ শাসনকার্যে যুক্ত হলে অবশ্যই তার থেকে বিনোদন দুনিয়ার বাকিদের প্রচ্ছন্ন প্রত্যাশা তৈরি হয়।’
ছাত্র আন্দোলন, শেখ হাসিনার পতন এবং নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন- একের পর এক ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান থমকে গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে কাজ করা বা ভারত থেকে বাংলাদেশের ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। অভিনেতা বা পরিচালক, প্রযোজকদের সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যা যেমন ঢাকার তেমনই টলিউডেরও। ফারুকী কী সত্যিই উদ্যোগী হবেন এ বিষয়ে?
সমস্যার বিষয়টি অস্বীকার করেননি অভিনেত্রী তমা মির্জা। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘ভিসা জটিলতায় আমি নিজেও ভুগছি। সব সময় কাজের জন্যই যে পাশের দেশে যেতে হবে, এমন কথা নেই। ভারতেও অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। ইচ্ছে করে, তারা আসুন বা আমরা তাদের কাছে যাই। এই জায়গাটা অনেক দিন ধরেই বন্ধ।’