শিষ্যদের খেলা থাকলে ভীষণ চাপে থাকেন নূরে আলম। ২০ জুনেও তাঁর একই অবস্থা হলো। এশিয়া কাপ আর্চারিতে জাপানের মিয়াতা গাকুতোর সঙ্গে লড়ছিলেন বাংলাদেশের আবদুর রহমান আলিফ। সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) বাসায় বসে বারবার জানার দেখছিলেন পয়েন্টে কতটা এগোল আলিফ। একসময় দেখলেন তাঁর ছাত্র জিতে গেছে। চোখে আর পানি ধরে রাখতে পারলেন না। পাশে থাকা মেয়ে এগিয়ে দিলেন টিস্যুর বক্স।
সেদিনের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে ২৩ জুন দুপুরেও যেন ধরে এল তাঁর গলা। বললেন, ‘আমার আসলে ওরকমই হয়।’
প্রতিদিন সাতসকালে মাঠে যান নূরে আলম। ছাত্রছাত্রীদের তির–ধনুকের সবক দিতে দিতে দুপুর ১২টা বেজে যায়। তারপর বাসায় ফেরেন। খাবার খেয়ে আবার বেলা তিনটায় ছুটে যান মাঠে। কোচিংয়ের পাশাপাশি বিকেএসপির আর্চারি বিভাগের প্রধান হিসেবে দাপ্তরিক কাজও করতে হয়, সেসব সারতে সারতে সন্ধ্যা। প্রথমে খেলোয়াড় ও পরে কোচ হিসেবে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এভাবেই আর্চারির সঙ্গে পথচলা। সেদিন দুপুরে মাঠে যাওয়ার পথে ফোনের ওপ্রান্ত থেকে শোনালেন সেই পথচলার গল্প।