চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং সৌর জগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। এই উপগ্রহে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ‘হিলিয়াম-৩’ (হিলিয়াম মৌলের একটি বিশেষ আইসোটোপ), যা পৃথিবীতে শক্তির যাবতীয় চাহিদা মেটাতে পারে অন্তত ১০ হাজার বছরের জন্য।

পৃথিবীতে ৫ হাজার কিলোগ্রাম ওজনের কয়লা পোড়ালে যতটা শক্তি উৎপাদন হয়, চাঁদের মাত্র ৪০ গ্রাম হিলিয়াম-৩ মৌল থেকে তৈরি হয় ততটাই শক্তি! ভাবুন, কত কম পরিমাণে ওই মৌলের প্রয়োজন হচ্ছে এই বিপুল পরিমাণ শক্তি তৈরি করতে!

এই ধারণাটার ভিত যতই মজবুত হচ্ছে উত্তরোত্তর, ততই ভারত ও চীনের মতো দেশগুলো ছুটতে শুরু করেছে চাঁদে। যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে ছোট ছোট উন্নয়নশীল দেশগুলোও। কারণ, তারা বুঝে গেছে, অপ্রচলিত উপায়ে শক্তি উৎপাদনের সেরা হাতিয়ারটি রয়েছে চাঁদেই। সেটি হচ্ছে হিলিয়াম-৩ মৌল।
হিলিয়াম-৩ কীভাবে কাজে লাগবে পৃথিবীতে শক্তি উৎপাদনে?

আমাদের এই গ্রহের তিন ভাগই জল (পানি)। বাকি এক ভাগ স্থল। পৃথিবী কার্যত ভরে রয়েছে সাগর, মহাসাগরে। সেই পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডয়টেরিয়াম অক্সাইড (D2O)। এই ডয়টেরিয়াম অক্সাইডের সঙ্গে পরমাণু চুল্লিতে হিলিয়াম-৩ মৌলের বিক্রিয়া ঘটালেই জন্ম হতে পারে বিপুল পরিমাণ শক্তির।

এখন যেটা ভাবা হচ্ছে, তা হল- তেজস্ক্রিয় বিকিরণহীন পরমাণু বিদ্যুৎ প্রচুর পরিমাণে উৎপাদনের জন্য চাঁদের বালিকণা ও ধুলোবালি (রেগোলিথ) থেকে ওই হিলিয়াম-৩ মৌলটিকে নিষ্কাশন করে সেটাকেই ক্যাপসুলে ভরে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে এবং কিছুটা দিয়ে চাঁদেই পরমাণু চুল্লিতে ব্যবহার করা হবে। এ জন্য শিল্পাঞ্চল ও গড়ে তোলা হবে চাঁদে। চাঁদে এই শিল্পাঞ্চল গড়তে সময় লাগবে ৩০ বছর। চাঁদে যে কলোনি বানাতে চলেছে মানবসভ্যতা, এই হিলিয়াম-৩ মৌলটি তারও শক্তির চাহিদা মেটাবে।

সূত্র: আনন্দবাজার



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews