শিশুখাদ্য বিষয়ে মা-বাবা, অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরি। শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোন খাবার তার জন্য উপকারী এবং কোনটি অনুপকারী, এ বিষয়ে অনেক মা-বাবাই ধারণা রাখেন না। আবার অনেকেই আছেন সবকিছু জানা সত্ত্বেও সময়ের অভাবে, নয়তো প্রয়োজন মনে না করে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু মনে রাখা দরকার, খাবারের সঙ্গে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নির্ভর করে। সুতরাং শিশু কোন খাবারে অভ্যস্ত হচ্ছে, সেটা মা-বাবার জানা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে শিশু যদি বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের চকলেট, চিপস, আইসক্রিম, টক-ঝাল-মিষ্টি জাতীয় আচার ইত্যাদিতে আসক্ত হয়ে যায়, তাহলে ভয়ংকর। কেননা, এসব খাবার নানা মেশিনে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এসে থাকে। ফলে এর মধ্যে ভিটামিনের পরিমাণ তো নেই-ই, বরং তা ক্ষতিকারক।
নিয়মিত এসব খাবার খাওয়ালে কিছুদিন পর বিভিন্ন উপসর্গ শিশুদের মাঝে দেখা যায়। যেমন– ঘুম কম হওয়া, মাথা ঝিমঝিম, অস্থিরতা, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, পড়ালেখায় অমনোযোগী, ঘরে তৈরি খাবারের প্রতি অনীহা, নিরর্থক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আসক্তি ইত্যাদি। এ ছাড়া এসব খাবারের ফলে শরীরে বাঁধতে পারে ভয়ংকর রোগ। শিশুর এমন অবস্থার জন্য মা-বাবাই সর্বপ্রথম দায়ী। কেননা, শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রথম প্রতিষ্ঠান হলো পরিবার। সুতরাং পরিবারের উচিত তাদের বেড়ে ওঠার মুহূর্তে বাইরের খাবার থেকে দূরে রেখে যতটা সম্ভব ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো। পারিবারিক সচেতনতাই পারে শিশুর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে।
nশিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
abdullahalmahmud620