টিকার মেধাস্বত্ব প্রত্যাহারের দাবির বিরোধিতায় জার্মানি ও ব্রিটেন

করোনা ভাইরাসের টিকা কোম্পানিগুলোর মেধাস্বত্ব প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেছে জার্মানি এবং ব্রিটেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারি ও মেগান এই দাবিতে সমর্থন দিলেও কয়েকটি দেশ এবং ওষুধ কোম্পানিগুলো বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইইউ নেতারাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসছেন। খবর ডেইলি মেইল ও ডয়চেভেলের

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বে করোনা টিকার মেধাস্বত্ব সাময়িক বাতিল করার উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক সাড়া দিলেও জার্মানি ও ব্রিটেন বিরোধিতা করছে। ব্রিটেন সাম্প্রতিক মাসে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় গোপনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সবাই মেধাস্বত্ব প্রত্যাহারের বিরোধিতা করছে। কিন্তু বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মেধাস্বত্বের দাবি প্রত্যাহারের পক্ষে অবস্থান নেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও একই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাত্রেঁদ্ধা মেধাস্বত্ব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু ব্রিটিশ এমপিরা বলছেন, টিকার আবিষ্কার এবং এর উন্নতিতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিগুলো। এর মেধাস্বত্ব না দিলে তারা উত্সাহ হারাবে। এর আরো আধুনিকায়নের গতি ধীর হবে।

উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশে করোনা টিকার অভাব মেটাতে মেধাস্বত্ব মোটেই অন্তরায় নয় বলে যুক্তি দেখিয়েছে অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সরকার। জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, মেধাস্বত্ব তুলে নিলে সার্বিকভাবে টিকা উত্পাদনের ওপর কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে না। তার মতে, উত্পাদন ক্ষমতা এবং উচ্চ মানদণ্ডই আপাতত প্রধান সমস্যা। টিকা কোম্পানিগুলি অনেক দিন থেকেই বিভিন্ন দেশে সহযোগীদের সঙ্গে উত্পাদন বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মডার্না কোম্পানি গত অক্টোবর মাসেই করোনা টিকার মেধাস্বত্বের ওপর দাবি শিথিল করলেও কোনো কোম্পানি নিজস্ব উদ্যোগে সেই টিকা তৈরি করতে পারেনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে আমেরিকার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। তিনি টিকা রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার পক্ষে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্যদের মধ্যেও এই প্রস্তাব নিয়ে জোরালো বিতর্ক চলছে। অন্তত ১৬০টিরও বেশি দেশের সমর্থন ছাড়া মেধাস্বত্ব বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন পেতে পারে। এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও টিকা কোম্পানির সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানির পক্ষে করোনা টিকা উৎপাদন করা কার্যত অসম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

ইত্তেফাক/ইউবি



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews