২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ফেইসবুকের ব্রিটিশ ব্যবহারকারীদের পক্ষে ওই ‘ক্লাস অ্যাকশন’ মামলা করার কথা জানিয়েছেন ব্রিটেনের ‘ফাইন্যানশিয়াল কনডাক্ট অথরিটি (এফসিএ)’র জেষ্ঠ্য পরামর্শক লিজা লাভডাল গর্মসেন।
মামলার আবেদনটি প্রথম শুনবে লন্ডনের ‘কম্পিটিশন আপিল ট্রাইবুনাল’। ফেইসবুক নিজ প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের প্রবেশাধিকার দিতে অন্যায় শর্তাবলী জুড়ে দিয়েছিল বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ থাকার কথা উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। এর ফলে ব্যক্তিগত গোপন তথ্য ফেইসবুকের হাতে তুলে বাধ্য হয়েছিলেন ব্যবহারকারীরা।
ইতোমধ্যেই ফেইসবুককে মামলার বিষয়ে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা।
তবে, ফেইসবুকের দাবি, মানুষ প্রতিষ্ঠানটির সেবা ব্যবহার করেছে কারণ মানুষকে মূল্যবান কিছু দিয়েছে তারা এবং “মেটা প্ল্যাটফর্মে নিজের কোন তথ্য দেবেন সে বিষয়ের উপর তাদের (ব্যবহারকারীর) অর্থবহ নিয়ন্ত্রণ আছে।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন’ (এফটিসি)-এর অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ফেইসবুক। এবার যুক্তরাজ্যেও প্রায় একই রকমের মামলার হুমকির মুখে পড়লো সামাজিক যোগাযোগের শীর্ষ মাধ্যমটি।
যুক্তরাজ্যের বাজারে সামাজিক মাধ্যমটির ভূমিকা প্রসঙ্গে লাভডাল গর্মসেন বলেন, “শুরুর পর থেকে ১৭ বছরে যুক্তরাজ্যের একমাত্র সামাজিক মাধ্যমে পরিণত হয়েছে ফেইসবুক, যেখানে আপনি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের একই স্থানে পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।”
“কিন্তু, ফেইসবুকের একটি অন্ধকার দিকও আছে। বাজার আধিপত্যের অপব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকদের উপর অন্যায় শর্ত আরোপ করেছে তারা। ব্যক্তিগত ডেটার অপব্যবহারের সুযোগ নিয়েছে তারা।”
লাভডাল গর্মসেনের অভিযোগ, ফেইসবুক নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম থেকে ‘ফেইসবুক পিক্সেল’-এর মতো কৌশল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট উপস্থিতিসহ, মূল্যবান ও গোপন ডেটা সংগ্রহ করেছে। যাতে ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবনের সব বিষয়ের তথ্যই চলে এসেছে সামাজিক মাধ্যমটির নাগালে।