বন্য প্রাণীর জন্য ভালোবাসা
বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে হলে রক্ষা করতে হবে বন্য প্রাণীদের আবাসস্থল, তাদের খাবার এবং সহজ চলাফেরার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আবার তাদের ঘিরে যাদের জীবন-জীবিকা, তাদের প্রতিও দিতে হবে নজর। শুধু আইন করে, জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন। তাদের যুক্ত করে, তাদের সঙ্গে জ্ঞানের আদান-প্রদান করেই বরং টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব। আলিফার এই কাজ বর্তমান বিশ্বে সম্প্রদায়ভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার ধারণাকে জোরদার করেছে।
‘আমাদের জেলেরা এই হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ ধরে বিক্রি করেন। দেশে সেভাবে জনপ্রিয় না হলেও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ খাবার হিসেবে চালু আছে। এর বিশ্ববাজার প্রায় ২৬০ কোটি ডলারের বেশি। এখন আমি যদি জেলেদের এই কাজ থেকে বিরত থাকতে বলি, তাহলে সেটা কখনো বাস্তবসম্মত হবে না। বরং আমরা যদি তাঁদের বোঝাতে পারি, কোন কোন সময়ে এরা সংখ্যায় বাড়ে, কী করলে এদের সংখ্যা বাড়বে এবং কীভাবে নির্বংশ না করেই জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করা যাবে, তাহলেই বরং বিপন্ন প্রজাতির মাছ বা প্রাণী সংরক্ষণে আমরা সফল হব,’ বলেন আলিফা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ও শাহিন আক্তার দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে সবার বড় আলিফা। মায়ের বই পড়ার স্বভাব পেয়েছেন আলিফা। ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়ে ওঠেনি। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। জীবজগতের সৌন্দর্য আবিষ্কার করতে শুরু করেন আলিফা। ঘুরতে থাকেন নানা জায়গায়।