এবারের আইপিএলের শুরু থেকে ব্যাটারদের তাণ্ডব দেখে মনে হচ্ছিল, দলীয় কোনো সংগ্রহই নিরাপদ নয়। ইডেন গার্ডেনে কাল রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে সেটাই প্রমাণ করেছে পাঞ্জাব কিংস। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এখন এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের বিশ্ব রেকর্ড। গত রাতের ওই ম্যাচে রেকর্ড বইয়ে আরও কিছু পরিবর্তন এনেছে। সেগুলোই দেখে নেওয়া যাক-
শুধু আইপিএল নয়, যেকোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ে জয় পেয়েছে প্রীতি জিনতার দল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৫৮ রান তাড়া করে এ রেকর্ড গড়েছিল প্রোটিয়ারা। যা এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। এতদিন আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড রাজস্থান রয়্যালসের ছিল। চলতি আসরেই এই রেকর্ড গড়ে তারা। এই জয়ের পর শুধু আইপিএল নয়, যেকোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল।
টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কাও হয়েছে এই ম্যাচে। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে ৪২টি ছক্কা হয়েছে। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৮টি ছক্কা, সেটিও হয়েছিল এবারের আইপিএলে; গত ২৭ মার্চ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে। এ ছাড়া এককভাবে ২৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছে পাঞ্জাব, যা টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে, এশিয়ান গেমসে টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপাল সর্বোচ্চ ২৬টি ছয়ের রেকর্ড গড়েছিল।
এদিন দুইদল মিলে ৫২৩ রান তুলেছে। এই ম্যাচে আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার দুই দলের চার ওপেনারই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন। সুনীল নারিন ও ফিল সল্ট-কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই দুই ওপেনার এবারের আইপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ঝড় তুলছেন। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও এই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। মাত্র ৬৩ বলে দুইজনে গড়েছেন ১৩৮ রানের জুটি। এর আগে, হায়দরাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪৯ রান হয়েছিল। এ ছাড়া হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ম্যাচে ৫২৩ রান হয়েছিল।
এই ম্যাচে দুইদল মিলে বাউন্ডারিতে ৪০০ রান (কলকাতা ১৯৬, পাঞ্জাব ২০৪) তুলেছে। যা এখন টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এর আগে, চলতি আসরের ব্যাঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ ম্যাচেও একই রান এসেছিল।
কাল ২০০+ স্ট্রাইক রেটে ৫০+ রান করেছেন দুই দলের ৫ ব্যাটসম্যান—কলকাতার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন এবং পাঞ্জাবের প্রভসিমরান সিং, জনি বেয়ারস্টো ও শশাঙ্ক সিং। কোনো স্বীকৃত টি-টেয়েন্টি ম্যাচে এমন কীর্তি এটাই প্রথম।
কাল বল হাতে ৬০ রান দিয়েছেন স্যাম কারেন, যা আইপিএলে কোনো অধিনায়কের সবচেয়ে খরুচে বোলিং। গত বৃহস্পতিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স দিয়েছিলেন ৫৫ রান। এক দিনের ব্যবধানে কামিন্সের বিব্রতকর রেকর্ড ভেঙেছেন কারেন।