খসড়া বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি (খসড়া) এখনো চূড়ান্ত হয়নি, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সর্বশেষ সংশোধনের পর (বিদ্যমান আইন) ১৪ বছর পার হয়েছে। এ সময়ে প্রযুক্তিগত অনেক পরিবর্তন এসেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প ও যুগের চাহিদার জন্যই নতুন আইনের প্রয়োজন।’ আগের আইন রহিত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলোচনা ও প্রস্তাবের পর সিদ্ধান্ত হবে, আগের আইনগুলোর কী হবে।
খসড়ায় আনা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে আইনটির প্রয়োগের আওতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সেলব্রডকাস্টিং ও ইন্টারনেট প্রটোকলভিত্তিক (আইপি) সেবাসহ সব ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে আইনের আওতায় লাইসেন্স নিতে হবে। এ ছাড়া দেশের বাইরে থেকে কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তিনিও এ আইনের আওতায় পড়বেন।
খসড়া আইনের অধীন যে কমিশন গঠনের কথা বলা আছে, সেই কমিশন বিটিআরসিই ‘রেগুলেশন ফর ডিজিটাল অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মস, ২০২১’ শীর্ষক প্রবিধান খসড়া করেছে। অন্যদিকে ‘ওভার দ্য টপ (ওটিটি) কনটেন্টভিত্তিক পরিষেবা প্রদান এবং পরিচালনা এবং বিজ্ঞাপন প্রদর্শন’ নীতিমালার খসড়া করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। আবার আইপিটিভির অনুমোদন দিচ্ছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ওদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স’ নীতিমালা তৈরি করেছে। এ ছাড়া একই মন্ত্রণালয়ের অধীন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁদের নিবন্ধন নিতে হয়।