টেলিযোগাযোগ ব্যবসায় একক আধিপত্য তৈরির অবস্থা যাতে তৈরি না হয়, তা নিশ্চিতে প্রবিধানমালা জারির পর তা সম্প্রতি কার্যকর করেছে বিটিআরসি।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে নীতিমালা অনুযায়ী গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপন দেওয়াসহ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা সোমবার চিঠি দিয়ে তাদের জানানো হয়।

এর আওতায় গ্রামীণফোন এখন দেশব্যাপী কোনো মাধ্যমে কোনো প্রকার মার্কেট কমিউনিকেশন্স বা বাজার প্রচারাভিযান করতে পারবে না।

গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে অপারেটর বদলানোর সেবা বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটির (এমএনপি) ‘লক ইন পিরিয়ড’ ৩০ দিন হবে। কোনো গ্রাহক অন্য অপারেটর থেকে গ্রামীণফোনে গেলে তিনি ৩০ দিন পর আবার অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন। যদিও বাকি অপারেটরগুলোর ক্ষেত্রে এ সময়সীমা ৯০ দিন।

নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, গ্রামীণফোন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বতন্ত্র ও একক স্বত্বাধিকার চুক্তি করতে পারবে না।

বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জাকির হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করনীয় বর্জনীয় হিসাবে ৪র্থ নম্বরে মার্কেট কমিউনিকেশন্স বলতে বিজ্ঞাপনকেই বোঝানো হয়েছে।”

নতুন এই বিধিনিষেধ আগামী মার্চ মাসের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হবে বেল চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

বিটিআরসির নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়ে গ্রামীণফোন মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় এক বার্তায় বলেছে, “আমরা বিটিআরসির নির্দেশনাগুলো হাতে পেয়েছি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।”

বিটিআরসির চিঠিতে গ্রামীণফোনকে কল ড্রপ দুই শতাংশের মধ্যে রাখতেও বলা হয়।

গ্রামীণফোন কলড্রপের হার নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে। তারা বলেছে, তাদের আওতার বাইরে থাকা বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হলে গ্রামীণফোনের কলড্রপের হার ১ শতাংশের কম দাঁড়াবে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews