কোরিয়াতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত কম হওয়ায় ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ কারণে ভবিষ্যতে কোরিয়ান অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের জুন মাসের তথ্যানুযায়ী, জাহাজ নির্মাণশিল্পে ৪ হাজার ৮০০ কর্মী, তৈরি উত্পাদনশিল্পে ২৭ হাজার জন, খাদ্য ও ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পে ১৪ হাজার ২০০ জন এবং পরিবহন খাতে প্রায় ২ হাজার ৩০০ জন কর্মীর ঘাটতি ছিল। ফলে কোরিয়ান সরকার বিদেশি কর্মী নিয়োগে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক নিয়মকানুন সহজ করেছে, যাতে বিদেশি শ্রমিকদের দিয়ে তারা শ্রমবাজারের এই ঘাটতি দূর করতে পারে।
২০২২ সালে কোরিয়ান সরকার ৬৯ হাজার বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য ই-৯ ভিসার বন্দোবস্ত করেছিল, যা তাদের আগের বছরের বরাদ্দকৃত কোটার তুলনায় বেশি ছিল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক কালে কোরিয়ান সরকার বিভিন্ন খাতে নতুন কোটা বাড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করেছে। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব খাতে লোকবলের ঘাটতি রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে।
কোরিয়া থেকে ফেরত আসা অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে জানা গেছে যে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সাধারণত কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের সততা ও নৈতিকতা, কাজের দক্ষতা এবং সাংস্কৃতিক ধ্যানধারণা কাছাকাছি হওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্রে আমাদের কর্মীদের চাহিদা আছে। বাংলাদেশি শ্রমিকেরা যদি নিজেদের আরও দক্ষ করে তুলতে পারে, তাহলে কোরিয়াতে আরও বেশি কাজের সুযোগ করতে পারবে।