চলমান তাপপ্রবাহের ফলে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে বলে দাবি করেছে পোল্ট্রি মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএ। এতে প্রতিদিন ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা গত, ১০ থেকে ১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালি মুরগি মারা গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকার মত।

এসব মুরগির মধ্যে ৮০ শতাংশ ব্রয়লার, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লেয়ার, বাকি ৫ শতাংশ সোনালি মুরগি।

সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলন, গরমের কারণে মুরগির উৎপাদন কমেছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত, ডিমের উৎপাদন কমেছে ৪ শতাংশ।

এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে বলেও শঙ্কার কথা বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

দিনে এক লাখ মুরগির মৃত্যুর তথ্য কীভাবে জানলেন, এই প্রশ্নে সুমন হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খামার থেকে তথ্য আসছে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ২২ লাখ মুরগি খামার থেকে বের হয়। ৫ শতাংশ হিসেব করলে এক লাখ মুরগি হয়।”

করপোরেট কোম্পানিগুলো এই সুযোগ নিয়ে জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মক ভাবে বাড়বে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের উচিত খামারিদের রক্ষা করা।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সরকারের পক্ষ থেকে খামারিদের মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিডে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন ধরে রাখতে হবে এবং সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে যাতে বাজারে সংকট সৃষ্টি না হয়।”

মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি ফিড বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দিলে প্রান্তিক খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলেও মত দেন সুমন।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews