ছবির ক্যাপশান,
আজ ঢাকা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা
৩ ঘন্টা আগে
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা এবং ব্যর্থ ঋণদাতাদের মোকাবিলায় নতুন আইনি ক্ষমতার সহায়তায় সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০ হাজার কোটি টাকার একটি পরিকল্পনা তৈরি করছে।
"প্রথম পর্যায়টি এক মাসের মধ্যে শুরু হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে কিছু ব্যাংক পুনর্গঠন করা হবে," গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন।
পরবর্তী পর্যায়ে আরও তহবিলের প্রয়োজন হবে, যার অর্থায়ন আসবে জাতীয় বাজেট এবং উন্নয়ন অংশীদার উভয় পক্ষ থেকেই।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১.৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে বিশ্বব্যাংক ১ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখতে পারে।
সংস্কার পরিকল্পনাটি কমপক্ষে পাঁচটি ব্যাংক দিয়ে শুরু হবে–– ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, যেটি সমস্যায় পড়েছে, তার বিদেশি বিনিয়োগের ঝুঁকির কারণে একটি পৃথক সমাধানের প্রয়োজন হবে। পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে অন্যদের একীভূত করা যেতে পারে।
"ইকুইটি ইনজেকশন অনিবার্য হবে। তবে, একীভূতকরণে জড়িত ব্যাংকগুলোর জন্য, ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক পরিকল্পনাগুলো আর্থিকভাবে টেকসই হতে হবে," কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংস্কার টাস্ক ফোর্সের সদস্য জাহিদ হোসেন বলেন।
"ডিসেম্বরের মধ্যে এই পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করা সম্ভব," তিনি আরও বলেন।
গভর্নর মনসুর জোর দিয়ে বলেন যে সরকারি পুনঃমূলধন তহবিল, ইকুইটি বা ঋণ হিসেবে প্রদান করা হোক না কেন, একটি রিটার্ন সহ পরিশোধ করা হবে, যাতে সরকার ক্ষতির সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করা যায়।

এখানে বলা হয়েছে, বিশ্বাস করে ব্যাংকে টাকা রেখে এখন জিম্মি লাখো গ্রাহক। ব্যাংকে ব্যাংকে ধরনা দিয়েও নিজের জমানো টাকা তুলতে পারছেন না। টাকা চাইলে নানা টালবাহানা আর অজুহাত। ঋণ কেলেঙ্কারিতে দুর্বল হয়ে যাওয়া ব্যাংকের ক্ষেত্রেই এ ঘটনা বেশি।
এসব ব্যাংক সংস্কার ও তারল্য সহায়তার পরও গ্রাহকের জমা অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। ফলে দীর্ঘদিন থেকে অপেক্ষা করে থাকা গ্রাহকের প্রত্যাশা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। তাদের আস্থায় চিড় ধরেছে। এ ঘটনা শুধু ঢাকা নয়, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলারও প্রায় একই চিত্র, বলা হয়ে খবরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু ব্যাংকের অনিয়ম, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং মার্জার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তারা ধাপে ধাপে সমস্যাগুলো সমাধান করছে, তবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরো সময় লাগবে।
এদিকে টাকা আটকে পড়া গ্রাহকদের অভিযোগ—সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বহীনতায় এক বছর পরও ব্যাংক লেনদেনের স্বাধীনতা ফিরে আসেনি, ফলে 'ব্যাংকে টাকা রাখা নিরাপদ কি না' এই প্রশ্ন এখন জনমনে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য এই সংকটকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। তিনি বলেন, 'ব্যাংক খাতের ৮০ শতাংশ অর্থ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা পুনর্গঠনের জন্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।'
এই পরিস্থিতিতে 'ব্যাংকে জমা রাখা টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই'—বাংলাদেশ ব্যাংকের এই বার্তা গ্রাহকদের কাছে রীতিমতো পরিহাস। লাখো গ্রাহকের কষ্টার্জিত সঞ্চয় এখন ব্যাংকের ভেতরে 'বন্দি'।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণ প্রত্যাশা করেছিল—জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর স্বাস্থ্যের সব খাতেই বৈষম্য দূর হয়ে আমূল পরিবর্তন আসবে। মানুষ ভালো সেবা পাবে, বাড়বে চিকিৎসাসেবার মান, হাসপাতালে ভোগান্তি কমবে।
কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছুর পরিবর্তন ঘটেনি। তবে গত এক বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে রদবদল এবং পদোন্নতি হয়েছে। আর সরকারের কিছু রুটিন কাজ হয়েছে এবং কিছু সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত এক বছরে ৮ হাজার ২৭৬ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
ফাইলবন্দি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ–– এ বছর গত ৫ মে স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা নিরসনে স্বাস্থ্যসংস্কার কমিশন কর্তৃক গঠিত সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে। ওই সময় যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলোর জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
কিন্তু তিন মাসেও সেসবের কোনো অগ্রগতির বাস্তবায়ন হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হামিদ ইত্তেফাককে বলেন, সংস্কার হচ্ছে বড় ধরনের পরিবর্তন। এক বছর মেয়াদে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে সাফল্য, সরকার স্বাস্থ্যের সংস্কারে কিছু প্রসেস শুরু করেছে।
সরকার গত এক বছরে রুটিন কিছু কাজ করেছে, যেমন—আহত ছাত্রদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, দেশে-বিদেশে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা—এগুলো রুটিন কাজ; সংস্কার নয়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী ইত্তেফাককে বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতকে উন্নয়নের পথে নেওয়ার জন্য কোন কোন জায়গায় সংস্কার করা দরকার, সে বিষয়েও একটি প্রস্তাব তৈরি হয়েছে, এটি যথার্থ।
কিন্তু অন্যদিকে গত এক বছরে স্বাস্থ্য খাতকে কাজের ক্ষেত্রে অগ্রসর করার তেমন কোনো নমুনা আমরা দেখতে পাই না।

এখানে বলা হয়েছে, নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) 'আইন প্রয়োগকারী সংস্থা'র সংজ্ঞায় 'সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনী' যুক্ত করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আইনে এটি যুক্ত হলে তিন বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দিতে আলাদা কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এবং বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবেন।
গতকাল সোমবার ইসির বৈঠকে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। সেখানে সশস্ত্র বাহিনীকে সংজ্ঞাভুক্ত করা ছাড়াও কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে 'না' ভোটের ব্যবস্থা রাখা, ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের শাস্তির বিধান স্পষ্ট করা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সম্পর্কিত সব বিধান বাদ দেওয়াসহ আরও কিছু প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
তবে এগুলো আইনে অন্তর্ভুক্ত হবে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করার পর।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ঐকমত্যের বিষয় জড়িত নয়, এমন বিষয়গুলো নিয়ে গতকাল ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে আরপিও–সংশ্লিষ্ট আরও কিছু বিধান আসতে পারে, ইসি সবটা বিবেচনায় রাখছে।
ইসি আশা করছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরপিও সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিতে পারবে। এ ছাড়া ঐকমত্য কমিশনের কোনো সিদ্ধান্ত এলে এবং ইসিকে অনুরোধ করা হলে সেটা সংশোধনীর জন্য উপস্থাপন করা হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ হিসেবে চারটি ব্যাংক দেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান 'কেয়া কসমেটিক্স লি.'-এর কাছে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা পাওনা। অপরদিকে রপ্তানি আয়ের ৬৬ কোটি মার্কিন ডলার (৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা) ওই ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে কেয়া গ্রুপের ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টে (এফসি) জমা করেনি।
কারণ, এখন পর্যন্ত এই বিপুল অঙ্কের অর্থের কোনো অস্তিত্ব নেই এসব ব্যাংকে। অর্থাৎ একরকম উধাও হয়ে গেছে এই অর্থ।
বিপুল অঙ্কের পাওনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এবং কেয়া গ্রুপ একে অপরের কাছে দাবি করে আসছে। তবে বকেয়া না পেয়ে কেয়া গ্রুপকে খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে অ্যাকাউন্টে রপ্তানির অর্থ জমা না হওয়ার ঘটনার তদন্ত চেয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলকে (এফআরসি) চিঠি দিয়েছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তাকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্টদের ধারণা-ব্যাংকগুলোর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ২০ বছরের (২০০৩ থেকে ২০২৩) বিভিন্ন সময়ে এই অনিয়মের ঘটনা ঘটে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
ওই চিঠিতে কেয়া গ্রুপের পক্ষ থেকে আরও উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত চাওয়ায় ব্যাংকগুলো সব ধরনের সুবিধা (আমদানি-রপ্তানি) কার্যক্রম কেয়া গ্রুপের সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ ব্যাংকগুলোর কাছে এ প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত বন্ধক আছে।
এ প্রসঙ্গে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এমএ কাসেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার পক্ষে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. কামরুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, ব্যাংক অডিট করে দেখছে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ বিএসইসি এ বিষয়ে একটি অডিট ফার্মকে তদন্তের জন্য নিয়োগ দিয়েছে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজীপুর ও মাগুরায় দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে গত রোববার রাতে মাগুরা সদরে চোর সন্দেহে যুবক সজল মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার স্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গত জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে অন্তত ১১১ নাগরিক গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
গতকাল এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ ধরনের ঘটনা বাড়িয়ে তুলছে, যা সামাজিক সম্প্রীতি ও আইনের শাসনের জন্য উদ্বেগজনক।
সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে শরিয়তের ছেলে সজলকে ধরে আলাইপুর স্কুল মাঠে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
পরে রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, টঙ্গীতে ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টায় স্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, নিহতের বয়স আনুমানিক ২২ বছর। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী।
পরে রাতে পুলিশ ভিডিও-ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ইংরেজি পত্রিকা NEW AGE এ প্রকাশিত প্রধান শিরোনাম- EC proposes provisions for 'no vote', no EVM use অর্থাৎ 'না ভোট', ইভিএম ব্যবহার নয়- এই বিধান প্রস্তাব করেছে ইসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে 'না ভোট' দেওয়ার বিধান পুনরায় বহাল রেখে এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের বিধান বাতিল করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের খসড়া সংশোধনী চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (পিপিও) বেশ কয়েকটি সংস্কার চূড়ান্ত করেছে কমিশন।
বৈঠকের পর, নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে যে, প্রয়োজনে ৩০০টি আসনের সবকটিতে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের থাকবে।
ঢাকায় ইসি সদর দপ্তরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় চার নির্বাচন কমিশনার - আবদুর রহমানেল মাসুদ, তাহমিদা আহমেদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ - উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, আরপিও-র খসড়া সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা আসন্ন নির্বাচন পরিচালনার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পদ্মা ব্যাংকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের অর্থ আমানত রাখা হয়েছিল।
বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। নজিরবিহীন ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে পদ্মা ব্যাংক।
যত দিন যাচ্ছে ব্যাংকটির অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি নিয়ে পদ্মা ব্যাংক বর্তমানে দেউলিয়া হওয়ার পথে।
এ অবস্থায় ব্যাংকটির কাছে গচ্ছিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানতের অর্থ ফেরতের জন্য করণীয় নির্ধারণে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় ব্যাংকটিকে আমানতের অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ জমা দিতে বলা হয়েছে। যদিও অনিয়মে বিপর্যস্ত পদ্মা ব্যাংকের কাছ থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানতের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পদাধিকারবলে বর্তমানে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী খান। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্বরত।
পদ্মা ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতির নিয়ে জানতে চাইলে শওকত আলী খান বণিক বার্তাকে বলেন, 'ব্যাংকটির তেমন কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। আমানতের পাশাপাশি মূলধনও শেষ হয়ে গেছে। এখন ঋণ আদায় ছাড়া ব্যাংকটির অন্য কোনো কার্যক্রমও নেই।

এখানে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে এখন কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছেন।
এক যুগের পর এ প্রথম বাংলাদেশর কোনো সরকার প্রধান মালয়েশিয়া সফর করছেন।
সফরের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে আজ মঙ্গলবার, যেখানে দুই দেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক, একাধিক সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাব্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জ্বালানি খাতে এলএনজি ও পেট্রোলিয়াম সরবরাহ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন, দুই দেশের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মিমোসের মধ্যে চুক্তি এবং এফবিসিসিআই ও মালয়েশিয়ার শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে সহযোগিতা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ব্যক্তিগত সম্পর্ক দুই দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের সুযোগ বাড়ানো এবং আসিয়ান জোটে বাংলাদেশের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার প্রচেষ্টায় এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এ দিকে প্রবাসীরা বলছেন মালয়েশিয়ার সরকার ২০২৩ সালে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া হঠাৎ বন্ধ করে দেয়, সেই থেকে এখনো বৈধকরণ প্রক্রিয়া চালু না হওয়ায় চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে কয়েক লাখ বাংলাদেশী প্রবাসী।
তাদের দাবি কলিং ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী আনার আগে তাদেরকে বৈধতার আওতায় আনা হোক।