সালমান খান

২০০২ সালে মুম্বাইয়ে গাড়ি চাপা মামলায় সম্প্রতি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খান। পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পর আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশে জামিনে মুক্ত আছেন তিনি। এই মামলায় এখন পর্যন্ত জেল খাটতে না হলেও এর আগে আরেকটি মামলায় তিন দিন জেল খেটেছিলেন সালমান।

১৯৯৮ সালে বিপন্ন প্রজাতির হরিণ শিকারের অভিযোগে সালমানকে দেয়া হয় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। ২০০৬ সালের ১০ এপ্রিল এই রায় ঘোষণা করে যোধপুর আদালত। এরপর ১৩ এপ্রিল জামিনে মুক্ত হবার আগ পর্যন্ত তিন দিন যোধপুর কারাগারে কাটান সালমান।

সঞ্জয় দত্ত

১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে ঘটে যাওয়া বোমা হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ার পর এখন কারাগারে দিন যাপন করছেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। লাইসেন্স ছাড়া কয়েকটি অস্ত্র নিজের কাছে রেখেছিলেন তিনি, যেগুলো মুম্বাই হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।

একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং একে ফিফটি-সিক্স রাইফেল সঞ্জয় দত্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ৭ মাস কারাগারে কাটানোর পর ১৯৯৫ সালে জামিনে বেরিয়ে আসেন সঞ্জয়। এরপর ২০০৭ সালে তাকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সবশেষ ২০১৩ সালের রায় অনুযায়ী, বাকি ৪২ মাস কারাদণ্ড ভোগ করছেন সঞ্জয়।

মনিকা বেদি

মুম্বাই সিনেপাড়ার সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সরাসরি সম্পর্ক অনেকে স্বীকার না করলেও এর জলজ্যান্ত প্রমাণ অভিনেত্রী মনিকা বেদি। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এই নায়িকাকে ২০০২ সালে পর্তুগাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ, সঙ্গে ছিলেন মুম্বাইয়ের গ্যাংস্টার আবু সালেম।

ভূয়া পরিচয়ে পর্তুগালে প্রবেশ করার চেষ্টা করতে গিয়ে গ্রেফতার করেন তারা। ২০০৬ সালে জাল পাসপোর্ট রাখার অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হন মনিকা, এরপর ২০১০-এ তার কারাদণ্ডের সময়সীমা কমিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে আবার অভিনয়ে ফিরেছেন মনিকা।

শাইনি আহুজা

গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৯ সালে দোষী সাব্যস্ত হন অভিনেতা শাইনি আহুজা। শাইনির ক্যারিয়ারের মোড় যখন সবে ঘুরতে শুরু করেছে, তখনই এ মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে।

শাইনিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরই নিজের অভিযোগ তুলে নেন তার গৃহকর্মী। কারাভোগ শেষে এখন ‘ওয়েলকাম ব্যাক’ সিনেমার শুটিং করছেন তিনি।

রবার্ট ডাউনি জুনিয়র

হলিউডের ‘আয়রন ম্যান’-এর ক্যারিয়ারের শুরু আশির দশকে। কিন্তু নব্বইয়ের মাঝামাঝি মাদকের নেশা তাকে গ্রাস করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার হন রবার্ট।

এরই মধ্যে ১৯৯৯ সালে এক বছর জেল খাটতে হয় এই তারকাকে। মাদক সেবন বন্ধ করেছেন কী না তা পরীক্ষার জন্য আদালতে হাজির থাকতে বলা হলেও সময়মত থাকেননি তিনি। বরং সে সময় প্রতিবেশীর বাড়িতে বিনা অনুমতিতে ঢুকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ার অভিযোগ আনা হয় রবার্টের বিরুদ্ধে।

মার্ক ওয়েলবার্গ

রাস্তায় এক ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলার অভিযোগে হত্যা চেষ্টার মামলা করা হয় ওয়েলবার্গের বিরুদ্ধে। এরপর ৪৫ দিন কারাভোগ করেন তিনি।

প্যারিস হিলটন

আদালতের নির্দেশ অবমাননা এবং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে তিন দিন জেল খাটেন হিলটন তনয়া, ২০০৭ সালে।

মাইক টাইসন

১৯৯২ সালে ধর্ষণের অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয় পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা মাইক টাইসনের। তিন বছর কারাভোগ করার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

লিন্ডসি লোহান

একাধিকবার জেল খাটতে হয়েছে হলিউডের প্রবলেম সেলিব্রিটি লিন্ডসি লোহানকে। ২০০৭ সালে কোকেইন সেবন করে বেআইনি কাজে লিপ্ত হবার অভিযোগে কয়েক দিন কারাভোগ করেন লোহান। এরপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মাদক নিরাময় কর্মশালায় অংশ না নেয়ায় ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয় তাকে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews