কে এই মুরাদ হাসান? অভিযোগ আছে, ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রদল করতেন। পরে ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগে আসেন। ছাত্রত্ব শেষ হলে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাংসদ হন। সাংসদ থেকে প্রতিমন্ত্রী। প্রথমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে, পরে তথ্য ও সম্প্রচারে আসেন। কিন্তু এই দুই মন্ত্রণালয়ে তিনি আদৌ কোনো অবদান রেখেছেন, তা কেউ বলতে পারবেন না। তবে তিনি অন্য বিষয়ে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। আর সে কারণে আকাশ থেকে ধরণিপ্রপাত।
বেশ কিছুদিন ধরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অশালীন, অনৈতিক ও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় হলেও সরকারের নীতিনির্ধারকদের ঘুম ভাঙছিল না। প্রথমে তিনি রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে কথা বললেন। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিতে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন। এ রকম ঘোষণা গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-নেতা দিয়েছেন। কিন্তু কাজ করছেন তার বিপরীত। ফলে জনগণ তাঁর এ বক্তব্যকে খুব আমলে নেয়নি। আমলে নিয়েছে তাঁর অশালীন ভাষাভঙ্গি, অমুককে মেরে শুইয়ে দেওয়া, অমুককে দেশছাড়া করার দম্ভ।