চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর সীমান্তে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে মৃত্যু হওয়া এক মাকে শেষবিদায় জানিয়েছেন দুই বাংলাদেশী মেয়ে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জগন্নাথপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৬/৮-এস-এর শূন্যরেখায় বাংলাদেশী দুই মেয়েকে তার মায়ের লাশ দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) সূত্র জানায়, ওই নারীর নাম লোজিনা বেগম (৮০)। তিনি ভারতের নদিয়া জেলার গোংরা গ্রামের বাসিন্দা এবং ফকির চানের স্ত্রী। বার্ধক্যজনিত রোগে গত ২ জুন রাতে নিজ বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। লোজিনা বেগমের চার ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে দুই মেয়ে বিবাহসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের এক মেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে শেষবারের মতো মাকে দেখার অনুরোধ জানান। বিজিবি বিষয়টি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফকে) জানায় এবং উভয়পক্ষ সম্মত হলে সীমান্তের শূন্যরেখায় লাশ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: নাজমুল হাসান বলেন, ‘বিজিবি সবসময় শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে কাজ করে। এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম ভবিষ্যতে বিজিবি-বিএসএফ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে এবং সীমান্ত অপরাধ রোধেও ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরো জানান, সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।