সারা দেশে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ‘চামড়া শিল্প রক্ষা কমিটি’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম।
এছাড়া চামড়া শিল্পের উন্নয়নে ‘চামড়া ব্যবস্থাপনা বোর্ড’ গঠনের দাবি জানিয়েছে তারা।
শনিবার বিকালে ঢাকায় এক মতবিনিময় সভায় কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া বলেন, “আমরা চামড়ার ন্যায্য মূল্য চাই। এ শিল্পের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “সবকিছুর দাম বাড়লেও কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ানো হয়নি। কোরবানির জন্য আনা পশু সঠিকভাবে জবাই দিতে সারা দেশে মাদ্রাসার ছাত্র, আলেম-ওলামারা কাজ করে। এটাকে সবাই ইবাদত হিসেবে নিয়েছে।”
শুধু পশুর চামড়া সংগ্রহ তাদের উদ্দেশ্য নয় দাবি করে আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
কমিটির পক্ষ থেকে তিনি ১০ দফা প্রস্তাবনা দেন। সেগুলোর মধ্যে আছে-
>> প্রতি বছর চামড়ার সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মূল্য ঘোষণার সময়সীমা ঈদের কমপক্ষে ১০ দিন আগে নির্ধারণ।
>> সারা দেশে চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে সরকারি তদারকি নিশ্চিত করা।
>> চামড়া সংরক্ষণের জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সরকারি পর্যাপ্ত লবণ ও হিমাগারের ব্যবস্থা করা।
>> দালাল ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন, আঞ্চলিক চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন।
>> মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোকে মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া সরাসরি চামড়া বিক্রি সুযোগ ও সুবিধা দিতে হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের উপদেষ্টা ও হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের নায়েবে আমির মহিউদ্দিন রাব্বানি, জাতীয় নাগরিক কমিটিরি কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সানাউল্লাহ খান, হেফাজতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, চামড়া রক্ষা কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুববিষয়ক সম্পাদক আকরাম হোসেইন।