নবীন উদ্যোক্তাদের নিয়ে পোশাকের ব্র্যান্ড বিশ্বরঙের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘শরৎ হাওয়া’। ২৯ সেপ্টম্বর শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে শেষ হয়েছে।
বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমির ‘শরৎ হাওয়া’তে অংশগ্রহণ করেছেন ১৬ জন উদ্যোক্তা। তাঁদের উদ্যোগগুলো হলো— রোদসী, পরিণীতা ফ্যাশন, ফ্লেয়ার, সাজো বাই সানজানা, তাস হ্যাঙ্গার, আমি আমরা, নান্দনিক কালেকশন, আকৃতা’স ক্রিয়েশন, মম ফানুস, যোহরা’স ভ্যানিটি, দ্য সলি, ক্রাফট ওয়ার্কস, এনএন বুটিক, ডোনাস হিউ, মিতার গল্প ও আরু।
পণ্য যাচাই-বাছাই, পণ্যের গুণগত মান, কোথা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা যায়—এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষিত করেছেন বিশ্বরঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহা। পণ্য নকশা থেকে ব্র্যান্ডিং সব ব্যাপারে তাঁদের প্রস্তুত করেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
বিপ্লব সাহা বলেন, “বিশ্বরঙ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করে। উদ্যোক্তা ভূমি তৈরি করেছি সৃজনশীল শিল্পীদের নিয়ে। আমি শুধু আমার অভিজ্ঞতা থেকে তাঁদের পরামর্শ দিয়েছি—কোনটা ভালো আর কোনটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ডিজাইন, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, বিপণন—সব দক্ষতা তারা রপ্ত করুক, এটাই আমি চাই। ‘শরৎ হাওয়া’ প্রদর্শনীতে নিজস্ব ডিজাইন প্রদর্শন করছেন উদ্যোক্তারা। পরে এগুলোই ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে বলেই আমার প্রত্যাশা। আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আমি তাঁদের পাশে থাকতে চেয়েছি।”
প্রদর্শনীতে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে বৈচিত্র্যময় ও ট্রেন্ডি ডিজাইনের পোশাকের সম্ভার—শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, ওড়না ইত্যাদি। বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালে ন্যাচারাল ডাই, ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট ও হাতের কাজ নজর কাড়ে। সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী জামদানি ও অন্যান্য তাঁতের শাড়িও ছিল। গয়না, ব্যাগ ও ঘর সাজানোর পণ্য এনেছে কয়েকজন উদ্যোক্তা। বাদ যায়নি হাতে বানানো উপহারসামগ্রী। আধুনিক গ্যাজেটস নিয়েও উপস্থিত ছিলেন তরুণ এক উদ্যোক্তা।
উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন সৌন্দর্যবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান, অভিনয়শিল্পী রোজী সিদ্দিকী, চলচ্চিত্র ও নাটক পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, কেশ–বিশেষজ্ঞ কাজী কামরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ ফ্যাশন সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী অপি করিম।