গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে সামগ্রিকভাবে (জিওবি/বৈদেশিক সাহায্য এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত) প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতি বিবেচনায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ, ৭৪.৫৪ শতাংশ)। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ, ১১.৫৯ শতাংশ)।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, মার্চ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অগ্রগতি ৪৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময় ছিল ৪৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সভায় উপস্থিত প্রকল্প পরিচালক এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে সামান্য বেশি হলেও মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এটিকে সম্মানজনক পর্যায়ে আনতে সবাইকে কাজ করতে হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত ৩২টি এবং জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট ৪৮টিসহ মোট ৮০টি প্রকল্পের বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ ৬ হাজার ৮১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে বরাদ্দ ৫ হাজার ১৯২ কোটি ৬১ লাখ এবং নিজস্ব অর্থায়নভুক্ত প্রকল্পে বরাদ্দ ৮৮৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সিদ্দিকুর রহমান সরকার, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস প্রমুখ।