রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের আওতায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এসব উদ্ধার করে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যিক অপরাধ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা অমর সিং বলেন, নাজিবের বাড়ি ও তার ছেলে-মেয়ের অ্যাপার্টমেন্টসহ আরো একাধিক অ্যাপার্টমেন্টে গত ১৮ মে থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
গত ৯ মে’র নির্বাচনে নাজিবের পরাজয়ের পর থেকে নতুন সরকার তার দেশ ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে এবং ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি তদন্ত নতুন করে শুরু করেছে।
একটি খালি অ্যাপার্টমেন্টে পুলিশ কর্মকর্তারা ৩৫ টি ব্যাগে নগদ ১১ কোটি ৪০ লাখ রিঙ্গিত (২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার) পেয়েছেন। উদ্ধার করা অর্থের মধ্যে ২৬ ধরনের মুদ্রা রয়েছে। তবে এর বেশির ভাগই রিঙ্গিত এবং সিঙ্গাপুরী ডলার।
জব্দ করা নগদ অর্থের পরিমাণ বের করতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অমর সিং।
তবে তিনি জানান, প্যাভিলিয়ন রেসিডেন্সের খালি অ্যাপার্টমেন্টটি নাজিব বা তার পরিবারের কারও নয়। কিন্তু এর মালিক কে তাও সিং বলেননি।
অ্যাপার্টমেন্টটি থেকে পুলিশ আরো ২৮৪টি হাতব্যাগের বাক্স জব্দ করেছে। নাজিবের মেয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫০টি হাতব্যাগ। আরো অনেক ব্যাগে মালয়েশীয় রিঙ্গিত, মার্কিন ডলার, ঘড়ি ও অলংকারও পাওয়া গেছে।
বেশিরভাগ ব্যাগই হারমেস ব্র্যান্ডের। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবং সঠিক মূল্য যাচাইয়ের জন্য ব্যাগগুলোর ছবি প্যারিসে পাঠানো হবে বলে জানান অমর সিং।
নাজিবের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে।
কেবল মালয়েশিয়া নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশ নাজিবের বিরুদ্ধে এ গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ অভিযোগের কারণেই পূর্বসূরি ও একসময়ের মিত্র মাহাথির মোহাম্মদের কাছে ৯ মে’র নির্বাচনে নাজিব পরাজিত হয়েছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
নির্বাচনের আগে মাহাথিরের বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে নাজিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নির্বাচনে জয়ের পর মাহাথির ক্ষমতা নিয়েই বিষয়টি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্ত হলে আত্মসাৎ হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।