রাজনৈতিক সরকারের বাইরে বিশেষ পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেট দিতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাস্তবমুখী ও জনকল্যাণমূলক একটি বাজেট দেওয়ার স্বপ্নের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, আগামী বাজেটে ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদার সুযোগ দেওয়া হবে না। তবে চেষ্টা করব যতটুকু সম্ভব দেওয়া যায়। কারণ, অনেকের কাছে অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা-পয়সা রয়েছে, যা বৈধ করেননি। কালোটাকা সাদা করার সব সুযোগ একেবারেই বন্ধ করা যাবে না। তবে আগে ১০ শতাংশ কর দিয়ে ঢালাও সুযোগ ছিল, সেটি থাকছে না। যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বসে তিনি আরও বলেন, আসন্ন বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা থাকবে। তবে রেশন ও সচিবালয় ভাতার মতো সব ভাতা একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাজেটের আকার কমিয়ে আনার যৌক্তিকতা, ঘাটতি বাজেট জিডিপির চার শতাংশের মধ্যে রাখা, ব্যাংক খাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিশেষ প্রতিনিধি মিজান চৌধুরী।

যুগান্তর : রাজনৈতিক দলের বাইরে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেট দিচ্ছে। সেখানে সবচেয়ে বেশি কোন বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে?

সালেহউদ্দিন আহমেদ : প্রথমে আমি বলব, যেটা বাস্তবায়ন করতে পারব, সে আলোকে আগামী অর্থবছরে বাজেটের আকার এবং অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো থাকবে। আমরা এ কাজ করব, সেটা করব-এসব বলে বাজেটে বড় কোনো লিস্ট (তালিকা) দেব না। তালিকা হবে সীমিত পরিসরে। বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, বিশেষ করে প্রাইভেট সেক্টরের (বেসরকারি খাত) উন্নয়ন কীভাবে আনা যায়, সেখানেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া। 

এছাড়া আসন্ন বাজেটে সরকারের পরিচালন খাতে বরাদ্দ এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আকার একটি বাস্তবমুখী হবে। পরিচালন বাজেট আগের মতোই থাকতে পারে, খুব বেশি বাড়বে না। এডিপি একটু বড় করা হবে। সেখানে মেগা প্রকল্প থাকবে না। মেগা প্রকল্পের নামে ছয় বিলিয়ন বা সাত বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা-এমন কোনো প্রকল্প থাকবে না। এক বা দুই বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প থাকতে পারে। যেমন মেট্রোরেল আছে বা বে-টার্মিনাল আছে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করতে এ ধরনের প্রকল্প থাকবে। আমি চেষ্টা করছি নতুন বাজটের ঘাটতি কমিয়ে রাখার জন্য। এটি যেন বিরাট না হয়। ঘাটতি বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪ শতাংশ রাখার চেষ্টা করছি। যদিও ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির অনুপাতে ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা যায়। ঘাটতি বাজেট বড় না করার কারণ হচ্ছে, আমাদের সম্পদ সীমিত। অর্থ সংস্থানের জন্য দেশ বা বিদেশ থেকে ঋণ করতে হয়। এছাড়া আমরা রাজস্ব বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছি। তবে চট করেই রাজস্ব বাড়ানো যাবে না।

যুগান্তর : কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অন্তর্বর্তী সরকার বন্ধ করলেও আগামী বাজেটে এর কোনো সুযোগ থাকবে কি না?

সালেহউদ্দিন আহমেদ : আগামী জুনে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, আর কোনো সুযোগ থাকবে না। তবে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে একটু চিন্তা করছি। অনেকের কাছে অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা-পয়সা রয়েছে, যা প্রদর্শন করার সুযোগ পাচ্ছে না। মানুষের হাতে থাকা অপ্রদর্শিত আয়ের অর্থ যদি একদম প্রদর্শন না করে, সেটি অর্থনীতিতে যুক্ত হবে না। এজন্য সরকারিভাবে জমি ও ফ্ল্যাটের মূল্য বাড়িয়ে সেক্ষেত্রে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলে সরকারের রাজস্ব কিছুটা বাড়বে। রিয়েল এস্টেট (আবাসন) খাতে রাজমিস্ত্রি থেকে শুরু করে অনেক শ্রমিক জড়িত। এ খাতে বড় ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যও হচ্ছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অপ্রদর্শিত আয়ের অর্থ দিয়ে জমি বা ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। আমরা যদি অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার এ সুযোগটাও বন্ধ করে দিই, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আর কোথাও যেতে পারবে না। এতে অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে আগামী বাজেটে ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হবে না। চেষ্টা করব যতটুকু সম্ভব দেওয়া যায়। অনেকে তার আর্থিক স্টেটমেন্টে তথ্য দেয়নি যে তার কত টাকা আছে। তাদের বলে দেওয়া হবে তোমার কত টাকা আছে, সেটির ওপর নির্ধারিত কর এবং সারচার্জ দিয়ে বৈধ করতে পারবে। তবে এটি যে তার বৈধ আয় কিন্তু প্রদর্শন করা হয়নি, এ বৈধ আয়ের প্রমাণ দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ এক কোটি টাকা লুকিয়ে রেখেছে, কখনো দেখায়নি। এই এক কোটি টাকার প্রমাণ দেখাবে যে এটি তার বৈধ আয়। এরপর ওই টাকার ওপর কর ও সারচার্জ দিয়ে বৈধ করতে পারবে। তবে অন্যান্য খাতে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার মতো ঢালাওভাবে সুযোগ আমরা দেব না।

যুগান্তর : মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ আছে, নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন? 

সালেহউদ্দিন আহমেদ : মোটামুটি খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমাতে পারিনি। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মনিটারি পলিসি কিছুটা সম্প্রসারণমূলক করে দিলাম। সরবরাহ চেইন ঠিক করা, মধ্যস্বত্বভোগী প্রবেশ করছে, সেটি ঠিক করা হচ্ছে। আমি মনে করছি, এ বছর নয়, আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে মূল্যস্ফীতি ৭ বা ৮ শতাংশের ঘরে নেমে আসবে।

যুগান্তর : ভঙ্গুর ব্যাংক খাত তুলে আনতে বাজেটে কোনো দিকনির্দেশনা থাকবে কি না?

সালেহউদ্দিন আহমেদ : ব্যাংক খাতের সমস্যা হচ্ছে-অধিকাংশ ব্যাংক থেকে গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে চলে গেছে অনেকে। আমরা প্রথমে নিশ্চিত করব যাদের টাকা ব্যাংকে ছিল, তারা যেন অর্থ ফেরত পায়। অবশ্য বড় অঙ্কের টাকা ফেরত পেতে সময় লাগবে। এখন ছোট ছোট গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এরপরও ব্যাংকগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। এখন ১২ থেকে ১৪টি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করছে সেখান থেকে তুলে আনার জন্য। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকও জানতে চেয়েছে ব্যাংকের স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে কত অর্থের দরকার হবে। আমরা চেষ্টা করছি ব্যাংকগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। সব ব্যাংক আগের অবস্থায় ফিরে আসবে, এ ব্যাপারে এখন বলা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে একটি ব্যাংক অন্য একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করতে হবে।

যুগান্তর : সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা, রেশন ভাতা ও সচিবালয় ভাতা নিয়ে আপনি কি কোনো চিন্তা করছেন, বাজেটে কোনো সুখবর দেবেন?

সালেহউদ্দিন আহমেদ : আমরা চেষ্টা করব। তবে শোনেন সচিবালয় ভাতা, মহার্ঘ ভাতা একসঙ্গে ডাবল হয়ে যাবে। সচিবালয় ভাতা দেওয়া হলে বাইরে যারা সরকারি চাকরি করছে, তারাও বলবে আমাদের ভাতা দেওয়া হলো না কেন। আসলে বাইরেও আমাদের অনেক অফিসার আছে। সচিবালয় ভাতা না দেওয়ার এটি একটি কারণ। আবার রেশন ভাতাও চাচ্ছে চাকরিজীবীরা। তাদের (চাকরিজীবী) যৌক্তিকতা হচ্ছে রেশন সুবিধা পুলিশ ও বিজিবি পায়, আমরা কেন পাব না। আসল কথা হচ্ছে, এসব বাহিনী যুগ যুগ ধরে রেশন পাচ্ছে। আর তাদের ডিউটি কোনো স্বাভাবিক নয়। পুলিশ যখন ডিউটি করে দুপুর ২টার খাবার বিকাল ৪টায় খায়, রাত ১২টায় ডিউটি শেষ করে এক রুমে ৬ জন ঘুমায়। রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গেলে সেটি দেখা যায়। ওদের খাওয়াদাওয়ার কোনো ঠিকঠিকানা নেই। ফ্যামিলির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এসব মানবিক কারণে তাদের এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এটি ঠিক তারা রেশন সস্তায় পাচ্ছে। তবে সচিবালয়ের লোকজনও ভুক্তভোগী। আমরা সব দিতে পারব কি না দেখছি। আমরা দেখছি মহার্ঘ ভাতা আছে, সেটির ব্যাপারে কিছু করা যায় কি না। সব সমহারে দিতে গেলে বহু অর্থের প্রয়োজন। এখন কর্মচারীদের রেশন দাবি বিবেচনায় আছে। তবে তারা যেভাবে চাচ্ছে, সেভাবে হবে না। আগামী এক বা দুই সপ্তাহ আছে বাজেট ঘোষণার। সেখানে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে।

যুগান্তর : ভর্তুকি কমিয়ে আনতে শর্ত রয়েছে আইএমএফ-এর, আপনি কি সে পথে হাঁটবেন?

সালেহউদ্দিন আহমেদ : আইএমএফ-এর শর্ত থাকলেও কৃষিতে ভর্তুকি কমানো হবে না। ভর্তুকি দেওয়ার কারণে পণ্যের দাম কিছুটা কমছে। আমি বলব, এরপরও কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এখন সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দিতে হচ্ছে এলএনজি, পেট্রোল ও ডিজেলে। এ খাতের ভর্তুকির পরিমাণ নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যের ওপর। আগামী দিনগুলোয় ভর্তুকি কমানোর প্রক্রিয়া হিসাবে ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে ‘সিস্টেম লস’ কমাতে বলেছি। এছাড়া বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমাতে বলা হয়েছে। কারণ, বিদেশ থেকে এলএনজি (লিকুফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) বেশি মূল্যে কিনে কম মূল্যে বিক্রি করছে সরকার। আমার মতে, এসব খাতে সব সময় ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। এলএনজি ভর্তুকি কমাতে বলেছি। আসন্ন বাজেটে বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তা কমিয়ে আনা হবে।

যুগান্তর : প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে সুবিধা পৌঁছাতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে কোনো সংস্কার আসবে? বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাহবা নিতে এ কর্মসূচিকে বড় করে দেখানোর প্রবণতা ছিল।

সালেহউদ্দিন আহমেদ : সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ব্যাপারে আমি বলছি, বর্তমান যে অঙ্কের ভাতা দেওয়া হচ্ছে এর চেয়ে কিছুটা বাড়বে। বিশেষ করে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রে। তবে এ কর্মসূচিতে প্রকৃত সুবিধাভোগী নির্বাচনে ভুল আছে। যিনি সুবিধা পাওয়ার কথা, তিনি পাচ্ছেন না। আবার যাদের না পাওয়ার কথা, তারা পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের আত্মীয়স্বজনও এ কর্মসূচিতে ঢুকে পড়ছে। ইতোমধ্যে আমরা ভুয়া সুবিধাভোগীদের শনাক্ত করেছি। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ডেটাবেজ আপডেট করতে পারলে প্রকৃত সুবিধাভোগীর সংখ্যা মিলবে। ডেটাবেজ না থাকার কারণে এ কর্মসূচিতে এক কোটির বেশি উপকারভোগীর সংখ্যা দেখানো হলেও সেখানে ২০ লাখের মতো অস্তিত্ব নেই। সেটি বাদ দিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীর সংখ্যা নির্ধারণ করা এবং এরপর সামাজিক নিরাপত্তার বিদ্যমান কাঠামো সংস্কার করা হবে। আর ভুয়া সুবিধাভোগীদের বাদ দিতে পারলে এ খাতে ব্যয় অনেক কমে আসবে। এতে প্রকৃতদের ভাতার অঙ্কও আরও বাড়ানো যাবে। যদিও সেটি আমরা এখনো করতে পারিনি। তবে আপাতত আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমছে না। কারণ, এখন তালিকা থেকে ভুয়াদের নাম বাদ দেওয়া শুরু করলে কে কখন কোন সুবিধাভোগীর নাম কে কেটে দেবে, তখন এর দায় এসে পড়বে আমাদের ওপর। ফলে আমি মনে করছি, আপাতত তারা ভাতা পেতে থাকুক পরে সেটি ঠিক করা হবে। 

যুগান্তর : বাজেটে নির্বাচনি ব্যয়ে বিশেষ বরাদ্দ থাকছে কি না? 

সালেহউদ্দিন আহমেদ : নির্বাচন ব্যয়ের একটি হিসাব নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া হয়। সেটির ওপর আমরা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারি না। নির্বাচন একটি স্পর্শকাতর বিষয়। নির্বাচন কমিশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বাজেট চাইলে আমরা দিয়ে থাকি। অবশ্য আশা করছি, কমিশন অহেতুক টাকা বরাদ্দ চাইবে না। তবে জাতীয় নির্বাচনের কারণে বাজেটে একটু চাপ পড়বে। নির্বাচনের কারণে অফিসারদের বাইরে যেতে হবে। ভোটকেন্দ্রে শিক্ষকদের পাঠাতে হবে। এসব খাতে ব্যয় হবে, সেটি আমরা দেখব।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews