কোরবানির কাঁচা চামড়ার শেষ গন্তব্যস্থল ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করেছেন ঢাকার পোস্তার আড়তদাররা।
ঈদের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে লবণযুক্ত চামড়া ট্যানারিতে যাওয়া শুরু করলেও ভালো দামের আশায় অনেক আড়তদার আরও কয়েক দিন বাজার দেখতে চাইছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পোস্তায় ট্রাকে চামড়া ওঠাতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন আব্দুর জব্বার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, লবণযুক্ত এসব চামড়া নিয়ে যাওয়া হবে সাভারের হেমায়তপুরের একটি ট্যানারিতে।
তিনি বলেন, “ঈদের পর আজকেই প্রথমবারের মত পোস্তা থেকে লবণ দেওয়া চামড়া ট্যানারিতে যাচ্ছে। একেক ট্রাকে ৫০০ থেকে ৫১০টি চামড়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
“তবে এখনো কেনাবেচা সেভাবে শুরু হয়নি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে ট্যানারিতে চামড়া নিয়ে যাওয়া।”
পোস্তার ওহাব অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী তারেক ইবনে আনোয়ার পান্না বৃহস্পতিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ট্যানাররা লবণযুক্ত প্রতিটি চামড়া গড়ে ১২০০ টাকা দর দিতে চাচ্ছেন। যে মালগুলোর কোয়ালিটি কিছুটা ভালো, সেগুলোর হয়তো ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা দর পাওয়া যাবে।
“তার উপরে বিভিন্ন শর্ত তো আছেই। ট্যানাররা ২৫ বর্গফুটের কম আয়তনের চামড়া নিতে চাচ্ছেন না। অল্প ফুটো থাকলে সে চামড়াটিও রিজেক্ট করা হচ্ছে।
“ট্যানাররা প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দর দিচ্ছেন ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। তবে এখনও আলোচনা চালাচ্ছি। আশা করছি আরেকটু দাম পেলে ছেড়ে দেব।”
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ট্যানারি ব্যবসায়ীদের এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনতে হবে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়; গত বছর এই দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, গতবছর যা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ছিল।
ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আড়তদারদের কাছ থেকে এখনও পুরোদমে চামড়া কেনা শুরু করেনি ট্যানারিগুলো। এখন দর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।”
ট্যানারিগুলো সরকারের বেঁধে দেওয়া দরে চামড়া কিনছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আসলে চামড়ার দাম তো মানের ওপর নির্ভর করে। মান ভালো হলে দরও ভালো পাওয়া যাবে। তবে ট্যানারিগুলো বেঁধে দেওয়া দরের কিছু কম তো দেওয়ার চেষ্টা করবেই।”
আন্জুমান ট্রেডিং কর্পোরেশনের এ কর্ণধার বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, লবণ দেওয়া চামড়াতেও ফুটো থাকে। দেরিতে লবণ দিলে অনেক সময় চামড়া কিছুটা পচে যায়, লবণ দিলে সেগুলো থেকে পশম পড়ে যায়, এ ধরনের চামড়ার দামও কমে যায়।”
কম দরেও ‘লাভ থাকবে’ আড়তদারের
ঈদের দিন উপযুক্ত দাম না পেয়ে চট্টগ্রামে অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী সড়কে চামড়া ফেলে যান বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাতে সেখানে হাজার হাজার চামড়া নষ্ট হয়। ঢাকাতেও অনেক ফড়িয়া বড় অঙ্কের লোকসান গোনার কথা বলেছিলেন। তাদের ভাষ্য, আড়তদার বা তাদের প্রতিনিধি অনেক ক্ষেত্রে কেনা দামও দিতে চায়নি।
তবে আড়তদারের লোকসানের কোনো ঝুঁকি দেখছেন না হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হাজী টিপু সুলতান।
আড়তদারদের এই নেতা বৃহস্পতিবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাধারণত আকার ভেদে প্রতিটি গরুর চামড়ার আয়তন হয় ২০ থেকে ২৫ বর্গফুট। তবে আকারে বড় গরুর চামড়া ৩০-৩৫ বর্গফুট পর্যন্ত হতে পারে।
“তবে সরকার লবণ দেওয়া চামড়ার যে দর বেঁধে দিয়েছে, সে দর না দিচ্ছেন না ট্যানারি মালিকরা।”
টিপু সুলতান বলেন, “আড়তদাররা এ বছর প্রতি পিস কাচা চামড়া ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় কিনেছেন। চর্বি ছাঁটা, লবণ মাখানো ও শ্রমিক খরচ ধরে প্রতিটি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয়েছে।
“পিস প্রতি ১২০০ টাকা দরে ট্যানারিগুলোর কাছে বিক্রি করা গেলে লবণযুক্ত প্রতিটি চামড়ায় আড়তদারদের ১৫০ থেকে ২০০ টাকা লাভ থাকবে।”
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, লবণযুক্ত চামড়ার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে আড়তগুলো ‘যোগসাজশ করে’ কম দরে কাচা চামড়া কিনে নেওয়ায় তারা লোকসান গুনেছেন। কিন্তু কম দরে কেনা কাচা চামড়া লবণ দিয়ে আড়তদাররা লাভ করবেন।
যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়ার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মো. রুবেলের দাবি, এবারের ঈদে কাচা চামড়া বেচাকেনা করতে গিয়ে তার ৭৫ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে।
তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে ২৪০টি বড় গরুর চামড়া কিনেছিলাম এলাকা থেকে। ঈদের দিন রাতে পোস্তায় প্রতিটি ফ্রেশ চামড়া ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আর যেগুলোতে ফুটো ছিল সেগুলো বিক্রি করেছি ১৪০ টাকা করে।”
ঈদের দিন কাচা চামড়া সংগ্রহের ক্ষেত্রে পোস্তার আড়তদাররা ‘সিন্ডিকেট তৈরি’ করেছিলেন বলে অভিযোগ রুবেলের।
তিনি বলেন, “সারাদিন খেটে লেবার দিয়ে ট্রাকে চামড়া নিয়ে পোস্তায় যাওয়ার পর আড়তদাররা সবাই ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা দর বলছিলেন। তাদের টার্গেট থেকে কম চামড়া পোস্তায় এলেও তারা দর দেননি। এর পেছনে ছিল সিন্ডিকেট, আড়তদাররা সিন্ডিকেট করায় আমাদের লস হলেও তারা ঠিকই লাভ করবেন।”
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাজী টিপু সুলতান বলেন, “কাচা চামড়ার দাম হয় তার মানের ভিত্তিতে। অনেক সময় পোস্তায় চামড়া পৌঁছাতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। জবাইয়ের ৮ ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ না দিলে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যায় না। তাই আড়তগুলো দেরিতে আসা চামড়া কিনতে চায় না।
“এছাড়া কাটা-ছেঁড়া বা ফুটো হওয়া চামড়াগুলো রিজেক্টেড হিসাবে ধরা হয়। কোনো পশু যদি তার জীবদ্দশায় কখনো লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়, সেই চামড়াও কোনো কাজে লাগে না। এসব কাচা চামড়ার ক্ষেত্রে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি।”
যেভাবে হয় চামড়া সংরক্ষণ
পোস্তার একটি আড়তে চামড়ায় লবণ দিচ্ছিলেন ৬৫ বছর বয়সী শ্রমিক ফখরুদ্দিন।
তিনি বলেন, “বাবার হাত ধরে ১০ বছর বয়স থেকে এ কাজ করছি। চার যুগ ধরে চামড়ায় লবণ দিচ্ছি।”
তার ভাষ্য, পশু জবাইয়ের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় লবণ দিতে হয়। চামড়ায় লেগে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ও মাংস ছেঁটে ফেলে লবণ দিয়ে চামড়া স্তূপ করে রাখা হয়। ট্যানারির কাছে বিক্রির আগ পর্যন্ত সেগুলো স্তূপ আকারেই আড়তে থাকে। শ্রমিকরা চুক্তির আওতায় আড়তদারদের আড়তে চামড়ায় লবণ দেন।
এবার একটি আড়তে সাড়ে তিন হাজার চামড়ায় লবণ দিয়েছেন ফখরুদ্দিন।
তিনি বলেন, “আমরা চর্বি ফেলে লবণ দিয়ে চামড়া আড়তে স্তূপ করি। প্রতিটি চামড়ায় ৮ থেকে ১০ কেজি লবণ লাগে, যেটার খরচ দেন আড়তদার।
“পরে ট্যানারির কাছে বিক্রির পর স্তূপ ভেঙে ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে আসা শ্রমিকদের চামড়া বুঝিয়ে দেই। এবার লবণ দেওয়ার জন্য চামড়া প্রতি আড়তদার আমাদের ৭৫ টাকা দেবেন বলে চুক্তি করেছেন।”
আড়তের লক্ষ্য ‘পূরণ হয়নি’
এবারের ঈদুল আজহায় ১ কোটির কিছু বেশি পশু কোরবানি হবে বলে আশা করেছিল সরকার। প্রস্তুত ছিল ১ কোটি ২৪ লাখ পশু।
তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ঈদুল আজহায় দেশজুড়ে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে, যা গতবারের চেয়ে প্রায় পৌনে ১৩ লাখ কম। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি, ছাগল ও ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি এবং অন্যান্য পশু কোরবানি হয় ৯৬০টি।
সরকারি তথ্য অনুসারে আড়তগুলো চলতি বছর ১ কোটি পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করেছিল।
তবে আড়তদারদের সংগঠন হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হাজী টিপু সুলতান বৃহস্পতিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার সারাদেশের আড়তগুলো ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করেছে। সে হিসাবে টার্গেট পূরণ হয়নি।
“পোস্তায় এখন যে শ’খানেক আড়ত আছে, সেগুলোতে ৯০ হাজার চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে ৭৫ হাজার, যেগুলোর বেশিরভাগই গরুর চামড়া। যদিও টার্গেট ছিল ৯০ হাজার। ছাগলের চামড়ার চাহিদা না থাকায় আড়তদাররা তা কেনেননি।”
এবার পশু কোরবানি কম হওয়ায় চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলে মনে করছেন এ ব্যবসায়ী নেতা। এক সপ্তাহের মধ্যে আড়তগুলো থেকে ট্যানারিগুলো পুরোদমে চামড়া কেনা শুরু করবে বলে আশা করছেন তিনি।
এবারের ঈদুল আজহায় কোরবানি হওয়া সব পশুর চামড়া আড়তগুলোতে আসেনি। এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলোর কোরবানির চামড়ার ‘উপযুক্ত মূল্য’ পাওয়া নিশ্চিত করতে সরকার ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ করেছে।
বৃহস্পতিবার তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, সরকার এবার লবণ দেওয়ায় এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলো ১৩ লাখ ৮০ হাজারটি চামড়া সংরক্ষণ করেছে। এ উদ্যোগের আগে গত বছর মাত্র ২ লাখ ৯০ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করেছিল এসব প্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদ কর্তৃপক্ষ চলতি বছর সরকারের বরাদ্দ দেওয়া লবণ দিয়ে ৮৫৩টি চামড়া সংরক্ষণ করে। তাদের সংরক্ষণ করা প্রতিটি চামড়া স্থানীয় টেন্ডারে ১৩৭২ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে।
চামড়ার ব্যবসায় আগ্রহ কমছে
চামড়ার কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়াসহ নানা কারণে গত এক দশকে চামড়া ব্যবসায় আগ্রহ কমেছে বলে মনে করছেন আড়তদাররা। পোস্তায় দীর্ঘদিন সেভেন স্টার লেদার নামের একটি আড়ত পরিচালনা করার পর ২০১৯ সালে তা ছেড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দা নাসিমুল গণী বাদল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা ছিল, তাই দামও ভালো ছিল; তখন ভালো ব্যবসা করেছি। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে রপ্তানি তেমন হচ্ছে না।
“বেশ কিছু ট্যানারি আমাদের পাওনা টাকাও দেয়নি। দুই বছর লসের পর ২০১৯ সালে আড়ত ভাড়া দিয়ে অন্য ব্যবসা শুরু করেছি।”
পোস্তায় চামড়ার আড়তের ব্যবসা থেকে ২০১০ সালে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসের রিজভী তারেক।
তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক যুগের বেশি সময় এ ব্যবসা করেছি। কিন্তু ২০১০ সালে ট্যানারিগুলো বলল, তারা টাকা শোধ করতে পারবে না। তাই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।”
হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হাজী টিপু সুলতান বলেন, “২০১৭ সালের আগে পোস্তায় আড়ত ছিল ২৫০টি। কিন্তু সরকার সাভারের হেমায়েতপুরে জায়গা নির্ধারণ করার পর ৬০ শতাংশ আড়ত সেখানে চলে গেছে। পোস্তায় আছে শ’ খানেক আড়ত।”
এখনো ২০-২৫টি ট্যানারির কাছে পোস্তার আড়তদারদের ১১০ কোটি টাকা পাওনা আছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, “এ টাকা দীর্ঘদিন কোরবানি ট্যানারিগুলো আটকে রেখেছে, সে টাকা আমাদের দিচ্ছে না। ওই টাকা আড়তদাররা কোনোদিন পাবেন কি না- তাও জানেন না।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আড়তদাররা যে টাকার কথা বলছেন তা ২০১৭ সালের আগের বকেয়া। ২০১৭ সালে ট্যানারিগুলো সাভারে নিয়ে যাওয়া হলেও ১৫টি প্রতিষ্ঠান প্লট পায়নি।
“তারা আড়তদারদের টাকা বাকি রেখেই এ ব্যবসা থেকে বেরিয়ে গেছেন। পরে তারা ব্যবসাও করতে পারেননি, আড়তদারদের বকেয়াও শোধ করেননি। বর্তমানে যে ট্যানারিগুলো চলছে, তারা আড়তদারদের টাকা সঠিক সময়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে।”