‘স্বপ্নের পেছনেই ছুটছি’ : সাদিক খান

সাদিক খান। জীবনমুখী বাস্তবতায় নিজেকে বন্দি করেছেন ফটোগ্রাফিতে। জন্ম জামালপুরের মেলান্দহে হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর চলাফেরা। এক ভাই, এক বোনের ছোট সংসার। বাবা চাকরিজীবী, মা গৃহিণী। শখের বশে ছবি তুলতে তুলতে পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সম্প্রতি ঈদে ট্রেনযোগে বাড়ি ফেরা মানুষের  একটি ছবি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দেশ-বিদেশে ছবিটি ব্যাপক আলোচিত হয়।

নিজেকে গ্রামের ছেলে বলতেই গর্ববোধ করেন সাদিক খান। গাঁয়ের মাটির সোঁদা গন্ধ এখনও লেগে আছে তাঁর শরীরে– এমনটিই ভাবেন। শৈশব-কৈশোরের বেশির ভাগ সময় গ্রামেই কেটেছে। কৈশোরে দুরন্তপনায় নিজেকে মাতিয়ে রাখতে পছন্দ করতেন। বর্ণিল রঙের ফড়িং ধরার জন্য হন্যে হয়ে পিছু পিছু ছুটতে চাইতেন। দিনভর প্রকৃতির সান্নিধ্যেই মেতে থাকতেন। তা কিছুটা থমকে যায় ময়মনসিংহ শহরে কলেজজীবন শুরু হওয়ার পর। তবে শহুরে জীবনে কিছুটা স্বস্তি খুঁজে পেতেন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে।

সাদিক খান বলেন, ‘অনেক সহপাঠী, শিক্ষকের দিকনির্দেশনা পেয়েছি। প্রথমে স্কুল ছিল ভাবকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর ঝাউগড়া উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলকোচা উচ্চ বিদ্যালয়, ধামরাই হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়। এরপর ময়মনসিংহ শহরে ব্রহ্মপুত্র রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ভর্তি হলাম। পরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও চিরসবুজ ক্যাম্পাসের টানে ভর্তি হই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাকৃবি আমার সব শিল্প-সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর। পড়াশোনার শেষে আমি আমার স্বপ্নের পেছনেই ছুটছি।’

ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতিকে ফ্রেমবন্দি করার নেশা জাগে সাদিকের। বাটন ফোনের দিনগুলোতে নকিয়া ফোনে ছবি তুলেছেন। এরপর অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ছবি তোলা শুরু করেন। প্রায় এক দশক পর হাতে ক্যামেরা পান। তাতেই নিজেকে জানান দিতে থাকেন। বাকৃবিতে পড়ার সময় ২০১৫ সালে ছবিপ্রেমীরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি। বিভিন্ন ফটোওয়াকে যেতেন। দেশের স্বনামধন্য আলোকচিত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে ছবিবিষয়ক নানা কর্মশালা করেন। সেখানে আলোকচিত্রী রফিকুল ইসলাম তাদের ক্লাস নিয়েছেন। তা ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেক গুণী আলোকচিত্রীর সান্নিধ্য পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে নানা কথার সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন সময়ে। তবে ক্যামেরা হাতে পাওয়ার পর নানা ছবি বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হতে দেখে অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেছে। পরিবারের সবাই এখন সর্বোচ্চ অনুপ্রেরণা জোগায়। বাবাও অনেক সাহস দেন।’ 



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews