নয়া দিগন্ত অনলাইন
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস থেকে যৌন উত্তেজক উপন্যাস বাদ
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস থেকে ইংরেজি ভাষায় লেখা প্রথম যৌন উত্তেজক উপন্যাস ‘ফ্যানি হিল’ ২৭০ বছর পর বাদ দেয়া হয়েছে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুডিথ হওলে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ ‘ফ্যানি হিল’কে পাঠ্য হিসেবে পড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি শিার্থীদের সাথে আলোচনা করে পাঠ্যক্রম থেকে এটি বাদ দেয়া হয়েছে।
যৌনতা ও বক্তব্যের স্বাধীনতা বিষয়ক এক আলোচনায় কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ড. হওলে আরো বলেন, যেকোনো পাঠ্যসূচিতে পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট থাকলে তা শিক্ষার্থীদের নৈতিক স্খলনের জন্য বড় কারণ হতে পারে, যা সামাজিক সম্পর্কগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
১৭৪৮ সালে বইটি প্রকাশের পর থেকে এর উত্তেজক কনটেন্টের জন্য পাঠকরা আঁতকে উঠতেন। তাই বইটি এখনো বিশ্বের অন্যতম নিষিদ্ধ বই হিসেবে রয়ে গেছে। অবশ্য এই বই প্রকাশের পর লন্ডনের চার্চের যাজক ও সমালোচকেরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।
ঋণখেলাপির দায়ে অভিযুক্ত লেখক লন্ডনের জেলে বসে বইটি লিখেছিলেন। একজন বয়স্ক পতিতার কলঙ্কময় জীবনে ঘটে যাওয়া নির্মম ও বাস্তব কিছু ঘটনাই বইটির মূল গল্প, যা ওই পতিতার স্মৃতিচারণের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে।