নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ চার যাত্রী নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিখোঁজ দুই নারী যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যার ৬টার দিকে নদীর তলদেশ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রবিউল হাসান।
নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার খালেদা বেগম (৪০) ও ফারজানা বেগম (১৯)। তারা সম্পর্কে বউ-শাশুড়ি। তাদের লাশ ফেরি দুর্ঘটনার স্থানে পানির নিচে ডুবে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তারা গাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন।
এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার হওয়া দুজন হলেন- খালেদা বেগমের ছেলে কামাল হোসেন (১৯) ও ফারজানা বেগমের স্বামী সাগর হোসেন। তারা বর্তমানে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে নবীনগরে ফিরছিলেন একই পরিবারের ৪ জন। ভোরে বিশনন্দী ফেরিঘাটে এসে অটোরিকশাসহ একটি ফেরিতে ওঠেন তারা। ছাড়ার মাত্র দুই মিনিটের মাথায় ফেরিটি সামান্য কাত হয়ে গেলে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়।
কামালের চাচাতো ভাই মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমার চাচা-চাচি পরিবারসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন। চাচা একটি পেট্রোল পাম্পে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে চাচি, তার দুই ছেলে ও ছেলের বউ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অটোরিকশায় করে। ফেরিতে ওঠার কিছুক্ষণ পর একটি ঝাঁকুনির সময় অটোরিকশাটি নদীতে পড়ে যায়। এতে কামাল উঠতে পারলেও চাচি ও ভাবি বের হতে পারেননি।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, সন্ধ্যার দিকে মেঘনা নদী থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। এর ভেতরে দুই নারীর লাশ পাওয়া গেছে।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাত হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকালেই তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
তিনি বলেন, ফেরিতে নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি ছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।